গত এপ্রিল থেকে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও খুলনা সিটি করপোরেশন এবং সৈয়দপুর, সখিপুর ও পাইকগাছা পৌরসভায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এসব স্বেচ্ছাসেবী।
করোনা সংকটকালে স্বেচ্ছাসেবীরা ওই সাত এলাকার ২১৫টি কমিউনিটি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করে যাচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০টি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮টি, চট্টগ্রামের ১৯টি, খুলনার ৩০টি, সৈয়দপুরের ৪৬টি, সখিপুরের ২৮টি ও পাইকগাছার ৩৪টি কমিউনিটি।
সম্পূর্ণ কমিউনিটি জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি এ এলাকাগুলোর মোট ৫১৪টি গোসলখানা ও পানি সংগ্রহের স্থানসহ কমিউনিটি টয়লেট জীবাণুমুক্তকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সির (সিডা) অর্থায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বেচ্ছাসেবীরা ওইসব এলাকার পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৬ মানুষের মাঝে লিফলেট, পোস্টার ও স্টিকার বিতরণের মাধ্যমে করোনা বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
কোভিড-১৯ এর সময়ে সঠিক নিয়মে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯০টি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫১টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৪০টি, খুলনা সিটি করপোরেশনে ৭১টি, পাইকগাছায় ২১টি, সৈয়দপুরে ৩৫টি, সখিপুরে ২৮টিসহ সর্বমোট ৩৩৬টি হাত ধোয়ার ডিভাইস স্থাপন করেছে ওয়াটারএইড।
এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ওইসব এলাকার এক লাখ ৭ হাজার ৬৬৩ পরিবারের মাঝে হাইজিন সামগ্রী (মাস্ক ও সাবান) বিরতণ করা হয়েছে ।
ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আগামী দিনগুলোতেও সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে হাত ধোয়ার সুবিধা পৌঁছে দেয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে ওয়াটারএইড।’