করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন নিয়ে গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি) ও ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের মধ্যে আলোচনা চলছে। গ্যাভির একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্যাভির ওই মুখপাত্র এক ই-মেইল বার্তায় বলেছেন, আমরা সামগ্রিক চাহিদা বিবেচনা করে (ভারত বায়োটেক) এর সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা ২০২২ সালে কোভ্যাক্সিন এর পোর্টফোলিও করছি৷ তবে, এখনই আমরা কোভ্যাক্সের সঙ্গে কোভ্যাক্সিন সরবরাহ নিয়ে কোনো চুক্তি করছি না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নভেম্বরে ভারতের প্রথম দেশীয় করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। গ্লোবাল এজেন্সি অনুমোদিত ১০টি ভ্যাকসিনের মধ্যে তিনটি ভারতে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত।
ভারতে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন কোভ্যাক্সিন ডোজ কোভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছে এবং তিন মিলিয়নেরও বেশি ডোজ কোভ্যাক্সিন রপ্তানি বা উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় কমেছে মৃত্যু, শনাক্ত বেড়ে ৫.৬৭ শতাংশ
গ্যাভি বলেছে, বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) এর সঙ্গেও তারা নোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন বিষয়ে আলোচনা করছে। সিরামের থেকে গ্যাভির ৩০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা নেয়ার একটি অর্ডার দেয়ার কথা রয়েছে।
সিরাম ইনস্টিটিউটে কয়েক মিলিয়ন ডোজ নোভোভ্যাক্স তথা কোভোভ্যাক্স’র মজুদ রয়েছে। সম্পতি এক দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে নয় মিলিয়নেরও বেশি ডোজ টিকা ইন্দোনেশিয়ায় পাঠিয়েছে সিরাম।
এছাড়াও সিরাম অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও কোভ্যাক্সেরও বড় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
গত বছরের এপ্রিল মাসে নিজেদের নাগরিকদের টিকা দেয়ার জন্য সিরাম ইনস্টিটিউট টিকা রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করলেও, অক্টোবর মাস থেকে পুনরায় টিকা রপ্তানি শুরু করেছে।
এই প্রতিষ্ঠানটি এখনও পর্যন্ত মোট এক বিলিয়নেরও বেশি ডোজ দান বা বিক্রি করেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন তৈরিকারী দেশ ভারতের বছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়ালো