মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদি পশু থাকায় চলতি বছরে কোরবানি ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না। অবৈধ পথে কোনোভাবেই গবাদি পশু প্রবেশ করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ থেকেই গবাদি পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
রবিবার (৪ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপন উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
কোরবানির পশু সরবরাহের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনে করে পশু সরবরাহ করা হবে। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৯টি পশুর হাটে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ২০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম ও দুটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আজহা সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য পবাদিপশু কোরবানি। কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সারা দেশে পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং কোরবানির পশুর অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন। এছাড়া নীরোগ ও স্বাস্থ্যবান পশুর ক্রয়-বিক্রয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কোরবানি করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ‘ভুল সংবাদ’ প্রচারে প্রেস উইংয়ের নিন্দা
কোরবানি উপলক্ষ্যে সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সকলের জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগে প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা প্রদান, প্রাণীর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদাপূরণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরুপণ করেছে। এ বছরে কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্টকৃত গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ দুই হাজার ৯০৫ টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০ টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২ টি অন্যান্য প্রজাতিসহ সর্বমোট এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এবছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫ টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করছি।
কোরবানির ঈদে বাজার যেন কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে এজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির কারণে পশুর দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।