প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হবে সৌদি আরব ও আমিরাতে
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য দেশ দুটিতে ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করবে সরকার।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানান।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ আছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫.৩০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশের মানুষের জন্যে ইলিশ সরবরাহ বাড়ানো এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক জলসীমায় ৫৮ দিন ইলিশ ও অন্যান্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ
‘পাশাপাশি, বাংলাদেশের মানুষ যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন এবং দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পাশে সোচ্চার ছিলেন, তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত আকারে ইলিশ মাছ রপ্তানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, সারা বছর পাঠানো না গেলেও অধিক ইলিশ প্রাপ্তির সময় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসিদের জন্য ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী সর্বাধিক প্রবাসী কর্মজীবী আছেন সৌদি আরবে প্রায় ৪৪ লাখ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ২২ লাখ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক অবস্থায় দুটি দেশে মোট ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। এ বছর আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর অন্যান্য দেশে পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে।
২৯ দিন আগে
মহিষের দইকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিতে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মহিষের দইকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন ‘মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মহিষের দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য কাজ করতে হবে। মহিষ আমাদের সম্পদ। মহিষ পালনকারীরা আমাদের সম্পদ। মহিষের মাংসে কোলেস্টেরল কম, তাই মহিষের মাংসকে জনপ্রিয় করতে হবে। দেশের নানা স্থানে মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ের নানা বৈচিত্র্য দেখা যায়।’
আরও পড়ুন: মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মহিষ পালনকারী খামারিদের সব ধরনের সহাযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, সংগৃহীত তথ্য নিয়ে গবেষণা করতে হবে।’
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এখন বাস্তব। তাই ক্লাইমেট চেঞ্জের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন প্রাণী হিসেবে মহিষকে অনেক গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। মহিষ বৈষম্যের শিকার হওয়া একটি প্রাণী। তাই মহিষ পালনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করতে হবে।’
‘আমরা যদি খাদ্যে আমিষের যোগানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে চাই সেক্ষেত্রে আমরা পর্যাপ্ত সহায়তা পাই না। দেশের গরু, ছাগল, মহিষ, হাস,মুরগির যদি উন্নয়ন না করতে পারি তাহলে কিসের উন্নয়ন। আসলে উন্নয়নের ধারণার পরিবর্তন হওয়া উচিত। যারা মহিষ পালন করেন তাদের প্রতি যদি কোনো সহায়তা না করতে না পারি তাহলে কিসের উন্নয়ন,’ বলেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদ ডিজিকে বাকৃবির সংবর্ধনা
তিনি বলেন, ‘এ ধরণের গবেষণা হচ্ছে বলেই আমরা মহিষ সম্পর্কে জানতে পারছি। একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাদের আচরণ কি হবে তা নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানকে তারা কীভাবে দেখে, তার ওপর।
বিএলআরআইর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বিএআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান।
২৯ দিন আগে
মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় কৃষিকাজের প্রাণী হিসেবে মহিষকে বিবেচনা করা হতো। আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সাভারের বিসিডিএম এ ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। মহিষের পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে নারীরা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চড়ে হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালে উপদেষ্টা বলেন, ইতোপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কীভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদি পশুর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিষ পালন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড (সিও২) হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
বক্তারা বলেছেন, উন্নত বিশ্ব মহিষের উৎপাদনশীলতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে তাদের প্রজনন কর্মক্ষমতা এবং দুধ উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে।
ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
অধ্যাপক ওমর ফারুকি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড.অশোক কুমার বালহারা, ড.যাদব, ড.হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জেলেদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১৪৩ দিন আগে
ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে, যাদের ডিম বেশি দরকার তাদের জন্য তা সরবরাহ করতে হবে।
এছাড়াও তিনি আরও জানান, ডিমের মূল্য কমাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আপরও পড়ুন: দশমী পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামের নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা বাড়ে। ডিম সাধারণ খামারি থেকে কয়েকদফা হাত বদল হয়ে ভোক্তার কাছে যায়। এ কারণেই ডিমের দাম বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, এজন্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সরাসরি কীভাবে ডিম পৌঁছানো যায় সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে। এছাড়া রমজানে ডিমের ব্যবহার কমে যায়। তাই মজুদ নয় চাহিদার আলোকে আমাদের কোল্ডস্টোরেজ করার চিন্তা করতে হবে। বন্যার কারণে দেশের অনেক খামার নষ্ট হয়েছে। এসব খামার উৎপাদনে যেতে কিছুটা সময় লাগছে। সব মিলিয়ে সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সিন্ডিকেটের কারণে ডিমের মূল্য বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে সরকার। বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। পাইকারিতে কিছুটা দাম কমেছে। দ্রুতই দাম নাগালে আসবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং ওয়াপসা-বিবির যৌথ উদ্যোগে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও ওয়াপসার সভাপতি মসিউর রহমান।
আপরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও উজ্জ্বল করার দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের: ধর্ম উপদেষ্টা
১৫৭ দিন আগে
প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হওয়ার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী- ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সভ্যতা নির্মাণকারী হলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিনাশ মানুষের বেঁচে থাকার পরিবেশকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানবিক ও প্রাণবিক বিষয়গুলো আমরা এক করে ফেলছি। প্রাণী রক্ষায় আমাদের আরও মানবিক হতে হবে, এক্ষেত্রে মানুষ আর প্রাণীর বিভাজন নয়। আসুন না, একটু মানবিক হই।’
রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর ও ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ এক্টিভিটির সম্মিলিত আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ’ থেকে ‘ওয়ান লাইফ অ্যাপ্রোচ’-এ পরিবর্তন করতে চাই, যেখানে মানবিক উন্নয়ন ও সুস্থতা, প্রাণিজীবনের সংরক্ষণ, পরিবেশের ভারসাম্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামগ্রিক জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন যাত্রা সফল করতে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা প্রধান উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন প্রদানের ফলে জলাতঙ্কের হার পূর্বের তুলনায় কমলেও অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য দেশে জলাতঙ্কের ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। তাই সচেতনতা বাড়ানো, কুসংস্কার দূর করা ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি।
এছাড়াও পোষা ও বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়ালকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে আহ্বান জানান ফরিদা আখতার।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ এক্টিভিটির অ্যানিমেল হেলথ টিম লিড অধ্যাপক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. মো. বয়জার রহমান।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে প্রয়োজন, সব প্রতিবন্ধকতা নিরসন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে জলাতঙ্ক সচেতনতাবিষয়ক একটি শোভাযাত্রা আয়োজন করে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্যদপ্তর, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী জলাতঙ্কের ওপর বিভিন্ন সচেতনতামূলক লেখাযুক্ত প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার হাতে নিয়ে শোভাযাত্রাটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ি মোড়ে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: লেফটেন্যান্ট তানজিমের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
১৬৯ দিন আগে
নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মানুষের খাদ্য প্রাণীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এলআরআই) কনফারেন্স হলে ‘প্রাণিসম্পদের ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য করণীয়’ সেমিনারে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই: আইন উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, সুষম পুষ্টি, বেকার সমস্যা, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষিজমির উর্বরতা, মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন ও বৈদেশিক আমদানি নির্ভরতা কমাতে জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান অপরিসীম।
এছাড়া প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বণ্টন-প্রক্রিয়া অন্যান্য খাতের চেয়ে ভিন্ন ও জটিল বলে জানান ফরিদা আখতার।
তিনি আরও বলেন, এ প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে না পারলে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। নতুন নতুন রোগের উদ্ভব হবে। এছাড়া সমন্বিত ব্যবস্থাপনা করা না হলে মারাত্মক রোগ ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের জন্য সবাইকে সমন্বিত হয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে: উপদেষ্টা
ভ্যাকসিন তৈরিতে বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ভ্যাকসিন প্রান্তিক খামারিদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। রোগগুলো যেন গবাদিপশুকে আক্রমণ করতে না পারে সে লক্ষ্যে ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে একদিকে যেমন বিদেশ নির্ভরতা কমবে অন্যদিকে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে প্রাণিসম্পদ খাত আরও বিকশিত ও সমৃদ্ধ হবে।
এলআরআইকে দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে রিসার্স পুল গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী রাতদিন পরিশ্রম করেন তাদের ইনসেনটিভ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা এলআরআইয়ের ভ্যাকসিন উৎপাদন কমপক্ষে তিনগুণ বাড়াতে চাই।
দেশে পশুজাত খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আঞ্চলিক ল্যাব স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে ফরিদা আখতার আরও বলেন, আমরা প্রান্তিক মানুষের নিকট সেবা পৌঁছানোর জন্য নিরাপদ চেইন সিস্টেম বানাতে চাই।
আরও পড়ুন: উন্নয়নমূলক কোনো কাজ বন্ধ করা হবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
১৭৫ দিন আগে