প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
অনিরাপদ বিদেশি প্রাণী আমদানির পক্ষে নয় সরকার: ফরিদা আখতার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশীয় প্রজাতির প্রাণীসম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫-এর র্যালি শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে শেরেবাংলা নগর মাঠে গিয়ে শেষ হয় র্যালিটি।
এ সময় প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অনিরাপদ বিদেশি প্রাণিজ সম্পদ আমদানির পক্ষে নয় সরকার। তাই দেশীয় প্রাণিজ সম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে শুধু দেশের চাহিদা পূরণ নয়, বিদেশেও এর বাজার সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে।
পরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ‘প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এ সময় পোল্ট্রি সেক্টরে আমদানি নির্ভরতা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের জন্য ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হলে এই দুটি ফসলকে কৃষি খাতের অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন (উত্তীর্ণ) হওয়া একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হতে হলে যেসব সক্ষমতা প্রয়োজন, তা এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। আমরা বের হয়ে গেলে একদিকে ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে, তারপরও এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পোল্ট্রি খাতের ক্ষুদ্র খামারিদের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, পোল্ট্রি ফিডের সংকট সমাধান জরুরি। ক্ষুদ্র খামারিদের টিকিয়ে রাখতে হলে ফিড-সংক্রান্ত সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের মাধ্যমে সবচেয়ে যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা হলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং এই খাতে নতুন উদ্যোক্তা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা।
আবু তাহের বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে বের হচ্ছেন। আমরা চাই, তারা প্রাণিসম্পদ খাতে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসুক। এ বিষয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে—কীভাবে উদ্যোক্তা হতে হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে, আমরা তা বাস্তব কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।
সেমিনারে প্রাণিসম্পদ খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, মানোন্নয়ন, বাজারব্যবস্থা, গবেষণা-উদ্ভাবন, ক্ষুদ্র খামারির টেকসই উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল কৃষি-প্রযুক্তি, তথা প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ, দেশে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য রক্ষা এবং রপ্তানি সম্ভাবনা বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
সেমিনার পরিচালনা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম।
এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
‘দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে একযোগে উদযাপিত হচ্ছে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ-২০২৫।
৭ দিন আগে
গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে সময়মতো ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে সময়মতো ভ্যাকসিন প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে রোগ নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গবাদিপশু যাতে রোগে আক্রান্ত না হয়, এ লক্ষ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। শুধু মাংস উৎপাদন বা রপ্তানির জন্য নয়, পশুর স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে নির্বাচিত চারটি জেলায় গবাদিপশুর ক্ষুরারোগের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ভ্যাকসিন যেন নির্দিষ্ট সময়েই দেওয়া হয়—তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি খামারিদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আপনাদের সমসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।
এলএসডির জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেশে উৎপাদনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত গরু কোরবানির হাটে এসেছে বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এধরণের গরু হাটে আসেনি।
পড়ুন: দেশীয় জাতের গবাদিপশু বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়ার বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গরুর দুধের সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে খামারিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই চিলিং সেন্টার স্থাপন করা জরুরি। যে অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে গুড়া দুধ আমদানি করা হয়—তা দেশের চিলিং সেন্টার স্থাপনে ব্যয় করলে খামারিরা উপকৃত হতেন।
তিনি আরও বলেন, গুড়া দুধ আমদানি আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। এ খাতে সরকার ছাড়াও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছাম্মাৎ ইয়াছমিন খাতুন, অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান, পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ডা. অমর জ্যোতি চাকমা।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, সুফল ভোগীদের পক্ষে বক্তৃতা করেন সেবিকা মন্ডল, আতাউর রহমান। এসময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গবাদিপশু খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় গরু-মহিষের ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্পভুক্ত নির্বাচিত চারটি জেলায় (মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ভোলা) আজ সকালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
১৫৯ দিন আগে
দেশীয় জাতের গবাদিপশু বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশীয় জাতের গবাদিপশু উৎপাদনে যথাযথ সহায়তা ও সঠিক পদ্ধতি নিশ্চিত করা গেলে এগুলোকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজন হলে পশুখাদ্যের গুণগত মান ও উপাদান নিয়ে গবেষণা জোরদার করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে সাভারের বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) মাধ্যমে নবনির্মিত ডরমিটরি ভবনের (হোয়াইট হল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, নতুন ডরমিটরি ও মনোরম পরিবেশে প্রশিক্ষণের ফলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়বে। যার সুফল পাবেন দেশের খামারিরা।
তিনি বলেন, উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এবছর কোরবানিতে গবাদিপশু সুস্থ ও সবল ছিল।
শিল্প-কারখানাভিত্তিক পশু পালন জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দেশের প্রান্তিক খামার ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়বে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে খামারিরা যেভাবে গবাদিপশু পালন করছেন, তাতে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন ও প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
কৃষির মতো প্রাণিসম্পদখাতে ভর্তুকি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে খামারিরা সরাসরি উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের কল্যাণে নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হয়েছে। এই খাতের কর্মকর্তাদের শুধু শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের নয়; অন্য তরুণদেরও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির পরিচালক ডা. এ. কে. এম. হুমায়ুন কবীর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বেগম শামছুননাহার আহম্মদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহজামান খান, এলডিডিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানীসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির কর্মকর্তারা। প্রশিক্ষণের জন্য আগত বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারের ৩৩ এবং ৪৩ ব্যাচের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১৭০ দিন আগে
নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় ও বাওড় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাওড় বাওড় সমস্যা নিয়ে এ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমি যেটা খুব অবাক হই, আমার নিজের মন্ত্রণালয় হিসেবে আমাদের খুব অসহায় লাগে আপনাদের মতই। আমরা জেলেদের মন্ত্রণালয়। আমাদের জেলেদের জীবন-জীবিকা যেখানে চলে সেই হাওড়-বাওড় ভুমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা হাওড় বাওড় ইজারা দেয়, আর আমরা তখন কাতর হয়ে বলি—এটা আমাদের দেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে প্রত্যেক পশুরহাটে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জল যার জলা তার, এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই প্রজন্মই সমাজের সকল বৈষম্য দূর করবে। প্রকৃত মৎসজীবীদের মাঝে বাওড়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সকল দপ্তরের কথা বলব। বাওড়পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে বাওড়ের প্রকৃত মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল পকে এ বিষয়ে সংহত হতে হবে।
এর আগে সকালে উপজেলার বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। সেসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, খেত মজুর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ মৎস্য কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯১ দিন আগে
কোরবানির ঈদে প্রত্যেক পশুরহাটে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে পশুর হাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে। সেখানে ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন, তারা চিকিৎসা সেবা দেবেন।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙেগ এক মত বিনিময়সভায় এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গবাদি পশুর পাশাপাশি মানুষেরও কিছু চিকিৎসা সেবা থাকা দরকার। গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত মানুষরা যেন নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে তারও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশের গরু প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কোরবানি ঈদের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাইরের পণ্য ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে, তা বন্ধ করা দরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিজিবি ও নৌপুলিশকে এ বিষয়ে কঠোর তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণকে দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষিতে যে হারে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয়, একই হারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে নেওয়া হয় না। এতে ছোট ছোট খামারিরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় যেসব নারী গবাদি পশু পালন করেন—তাদের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ ড. ইউনূসের
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)'র মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী, রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতোয়ার রহমান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্টেশন ইনচার্জ ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২ দিন আগে
সব মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘গরিবের জন্য অনিরাপদ খাদ্য আর মধ্যবিত্তদের জন্য নিরাপদ খাদ্য- এধরণের বৈষম্য দূর করতে হবে। এটা কিছুতেই হতে দেয়া যাবে না। সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।’
শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে খাদ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ৭ম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘খাদ্য আলোচনা প্রায়শই শুধু কৃষিকে কেন্দ্র করে করা হয়, কিন্তু খাদ্য উৎপাদন শুধু কৃষি থেকে আসে না। মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্য নিরাপত্তা এবং খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে একসাথে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কৃষির সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয় না।’
‘খাদ্য উৎপাদন এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্য নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সচেতন মানুষ বেশি টাকা দিয়ে হলেও রাসায়নিক পদার্থমুক্ত-এন্টিবায়োটিকমুক্ত মাছ-মাংস পেতে চায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বা খেটে খাওয়া মানুষ খাদ্য নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে তারা সচেতন নয়। তাই তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষিতে কীটনাশক এমনকি আগাছানাশক ব্যবহারের ফলে শুধু কৃষিতে ক্ষতি হচ্ছে না, গবাদিপশু পালনে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক পুকুর, নদী ও নালায় মিশে মাছের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এমনকি কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে মাছ ধরার জন্য, যা নিরাপদ খাদ্যের জন্য বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আধুনিক কৃষির মাধ্যমে সবজি সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু একসময় অনেক ঋতুভিত্তিক বা সিজনাল সবজি ছিলো; তা এখন পাওয়া যাচ্ছে না। এই সবজি উৎপাদন করতে হাইব্রিডাইজেশন করা হচ্ছে, আর এর ফলে কীটনাশক ব্যবহার করতে বাধ্য। এভাবে খাদ্যের যে আধুনিক ধারণা তৈরি হচ্ছে, যা সমস্যায় জর্জরিত। সারা বছর একই প্রকার সবজি বা ফসলের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়লে তা মনোকালচারে পরিণত হবে। খাদ্যকে যেভাবে মেনুপুলেট করা হচ্ছে তার পরিবর্তন হওয়া দরকার।’
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আলিমুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কতৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শোয়েব।
২০৮ দিন আগে
কোরবানির ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদি পশু থাকায় চলতি বছরে কোরবানি ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না। অবৈধ পথে কোনোভাবেই গবাদি পশু প্রবেশ করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ থেকেই গবাদি পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
রবিবার (৪ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপন উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
কোরবানির পশু সরবরাহের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনে করে পশু সরবরাহ করা হবে। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৯টি পশুর হাটে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ২০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম ও দুটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আজহা সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য পবাদিপশু কোরবানি। কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সারা দেশে পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং কোরবানির পশুর অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন। এছাড়া নীরোগ ও স্বাস্থ্যবান পশুর ক্রয়-বিক্রয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কোরবানি করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ‘ভুল সংবাদ’ প্রচারে প্রেস উইংয়ের নিন্দা
কোরবানি উপলক্ষ্যে সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সকলের জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগে প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা প্রদান, প্রাণীর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদাপূরণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরুপণ করেছে। এ বছরে কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্টকৃত গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ দুই হাজার ৯০৫ টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০ টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২ টি অন্যান্য প্রজাতিসহ সর্বমোট এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এবছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫ টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করছি।
কোরবানির ঈদে বাজার যেন কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে এজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির কারণে পশুর দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
২১৪ দিন আগে
১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হবে সৌদি আরব ও আমিরাতে
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য দেশ দুটিতে ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করবে সরকার।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানান।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ আছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫.৩০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশের মানুষের জন্যে ইলিশ সরবরাহ বাড়ানো এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক জলসীমায় ৫৮ দিন ইলিশ ও অন্যান্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ
‘পাশাপাশি, বাংলাদেশের মানুষ যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন এবং দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পাশে সোচ্চার ছিলেন, তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত আকারে ইলিশ মাছ রপ্তানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, সারা বছর পাঠানো না গেলেও অধিক ইলিশ প্রাপ্তির সময় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসিদের জন্য ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী সর্বাধিক প্রবাসী কর্মজীবী আছেন সৌদি আরবে প্রায় ৪৪ লাখ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ২২ লাখ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক অবস্থায় দুটি দেশে মোট ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। এ বছর আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর অন্যান্য দেশে পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে।
২৯০ দিন আগে
মহিষের দইকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিতে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মহিষের দইকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন ‘মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মহিষের দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য কাজ করতে হবে। মহিষ আমাদের সম্পদ। মহিষ পালনকারীরা আমাদের সম্পদ। মহিষের মাংসে কোলেস্টেরল কম, তাই মহিষের মাংসকে জনপ্রিয় করতে হবে। দেশের নানা স্থানে মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ের নানা বৈচিত্র্য দেখা যায়।’
আরও পড়ুন: মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মহিষ পালনকারী খামারিদের সব ধরনের সহাযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, সংগৃহীত তথ্য নিয়ে গবেষণা করতে হবে।’
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এখন বাস্তব। তাই ক্লাইমেট চেঞ্জের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন প্রাণী হিসেবে মহিষকে অনেক গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। মহিষ বৈষম্যের শিকার হওয়া একটি প্রাণী। তাই মহিষ পালনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করতে হবে।’
‘আমরা যদি খাদ্যে আমিষের যোগানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে চাই সেক্ষেত্রে আমরা পর্যাপ্ত সহায়তা পাই না। দেশের গরু, ছাগল, মহিষ, হাস,মুরগির যদি উন্নয়ন না করতে পারি তাহলে কিসের উন্নয়ন। আসলে উন্নয়নের ধারণার পরিবর্তন হওয়া উচিত। যারা মহিষ পালন করেন তাদের প্রতি যদি কোনো সহায়তা না করতে না পারি তাহলে কিসের উন্নয়ন,’ বলেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদ ডিজিকে বাকৃবির সংবর্ধনা
তিনি বলেন, ‘এ ধরণের গবেষণা হচ্ছে বলেই আমরা মহিষ সম্পর্কে জানতে পারছি। একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাদের আচরণ কি হবে তা নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানকে তারা কীভাবে দেখে, তার ওপর।
বিএলআরআইর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বিএআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান।
২৯০ দিন আগে
মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় কৃষিকাজের প্রাণী হিসেবে মহিষকে বিবেচনা করা হতো। আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সাভারের বিসিডিএম এ ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। মহিষের পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে নারীরা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চড়ে হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালে উপদেষ্টা বলেন, ইতোপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কীভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদি পশুর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিষ পালন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড (সিও২) হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
বক্তারা বলেছেন, উন্নত বিশ্ব মহিষের উৎপাদনশীলতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে তাদের প্রজনন কর্মক্ষমতা এবং দুধ উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে।
ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
অধ্যাপক ওমর ফারুকি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড.অশোক কুমার বালহারা, ড.যাদব, ড.হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জেলেদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
৪০৫ দিন আগে