বৃহস্পতিবার ডিইউজের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কুদ্দুস আফ্রাদ। এ সময় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কথাশিল্পী রাহাত খানের স্মরণেও এক মিনিট নীরবতা পালনসহ জনকণ্ঠ, মানবকণ্ঠ, নিউনেশনসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রের অভ্যন্তরীণ সংকট দ্রুত সমাধানের দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তব্যে কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সংবাদপত্রে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রবাহ আগের মতোই আছে। কিন্তু সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে গড়িমসি করছে অনেক প্রতিষ্ঠান এবং অস্থিরতার দিক ঠেলে দিচ্ছে পুরো গণমাধ্যম শিল্পকে।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, গণমাধ্যম সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সাংবাদিকদের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেতন থাকতে হবে।
সভায় ইউনিয়নের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় লুপা তালুকদারের সদস্যপদ সর্বসম্মতিক্রমে স্থগিত করা হয়। গণমাধ্যমের সংকট নিরসনে সরকার, মালিকপক্ষ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বকেয়া বেতন পরিশোধে মালিকপক্ষের উদাসীনতা ও কয়েকটি পত্রিকার সাংবাদিক ছাঁটাইয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এসব সংকট সমাধানে মালিক পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আছাদুজ্জামান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, জনকল্যাণ সম্পাদক সোহেলী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সাকিলা পারভীন, শাহনাজ পারভীন এলিস, সলিমুল্লাহ সেলিম, এ এম শাহজাহান মিয়া, অনুপ খাস্তগীর, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নিউনেশন ইউনিট প্রধান হেমায়েত হোসেন, দৈনিক ইনসানিয়াতের ইউনিট প্রধান খোরশেদ আলম, দৈনিক করতোয়ার ইউনিট প্রধান এস এম শাহাব, দৈনিক জনতার ইউনিট প্রধান আতাউর রহমান জুয়েল, দৈনিক জনকণ্ঠের ডেপুটি ইউনিট প্রধান পলাশ চন্দ্র দাস।