নিহতদের মধ্যে একজন শিশু এবং অপরজন বৃদ্ধ বলে জানা গেলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। হতাহতরা সকলে কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের যাত্রী।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের ও কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের মাস্টার নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, রবিবার রাতে কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দর থেকে এবং ফারহান-৯ লঞ্চটি ভাণ্ডারিয়ার হুলারহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। লঞ্চ দুটি মেঘনার মাঝেরচর এলাকায় পৌঁছলে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
কীর্তণখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার ঝন্টু জানান, ‘ফারহান লঞ্চটির কোনো রাডার না থাকায় কুয়াশার মধ্যে দেখতে না পেয়ে আমাদের লঞ্চটির মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে পেয়েছি দুজন নিহত হয়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে নিশ্চিত হতে পারছি না। লঞ্চের কেউ ফোনও ধরছে না।’
তবে এ বিষয়ে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএ'র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।