জামিনের মেয়াদ শেষে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তবে হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট জাহিদ সারওয়ার কাজল।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত হয়। আহত হন অনেকে। এ ঘটনায় আসিফ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা চকবাজার মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান হাসান ও সোহেল।
শুনানিতে তাদের আইনজীবী মোমতাজউদ্দীন আহমেদ মেহেদী ও শেখ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রাইভেট কারের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ফলে ভবন মালিক হিসেবে তাদের দায় কোথায়? এছাড়া এজাহারে ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ভবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ তারা ওই নম্বরের কোনো ভবনের মালিক নন। তারা ৬৪ নম্বর ভবনের স্বত্ত্বাধিকারী। এ কারণে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করতে পারেন।’
জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন জাহিদ সারওয়ার কাজল। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তিন সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়। একইসঙ্গে তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরকে সহযোগিতা করতে দুই আসামিকে বলেছে আদালত।
অ্যাডভোকেট মেহেদী বলেন, ‘জামিনপ্রাপ্তরা ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের ছেলে। তিন সপ্তাহ পর তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।’