শাহরিয়ার আলম (১২) মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং নগরীর কোতোয়ালী থানার এনায়েতবাজার এলাকার শাহীন আলমের ছেলে।
সোমবার নিহত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
অপরদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, শাহরিয়ার আলম মাদ্রাসার বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
হালিশহর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই হেফজখানার টয়লেটে শাহরিয়ারকে ঝুলন্ত অবস্থায় পায় বলে জানায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
টয়লেটের সিলিং থেকে গলায় লুঙ্গি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল শাহরিয়ারের দেহ। পরে তাকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আমরা এ ঘটনা তদন্ত করে দেখছি।
নিহত শাহরিয়ারের মা শারমিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, মাদ্রাসার মনির হুজুর আমাকে মোবাইলে ফোন করে বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ। পরে আমরা বাসা থেকে মাদ্রাসার হোস্টেলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার ছেলেকে পিটিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়েছে। পরে ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়ার জন্য চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’