শনিবার বিকালে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পার্কের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
আগ্রাবাদ শিশু পার্কের পাশে বৃহৎ পরিসরে গণপূর্ত বিভাগের উদ্যোগে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৫৫ একর জমির ওপর বিশাল এলাকা জুড়ে পার্কটি তৈরি করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, পার্কটিতে রয়েছে সাড়ে তিন ফুট গভীরতার বিশাল কৃত্রিম লেক। পাড়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফলদ ও বনজ গাছ। আছে বসার আসন ও সুদৃশ্য ফোয়ারা। সেই সাথে লেকের পাশ দিয়ে রয়েছে পায়ে হাঁটার পথ। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের শরীর চর্চার সুবিধার্থে প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে।
এছাড়া বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সপ্তাহের প্রতিদিনই পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
জাম্বুরী পার্কের প্রকল্প পরিচালক আহমেদ আবদুল্লাহ নূর ইউএনবিকে জানান, সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে আর কম্পাউন্ড রোড মিলে ৮ হাজার রানিং ফুটের পার্কটির মাঝে ৫০ হাজার বর্গফুটের জলাধার রাখা হয়েছে।
এছাড়া জলাধারের কিনারায় বসার জন্য তিনটি বড় গ্যালারি, মাঠজুড়ে সাড়ে পাঁচশ লাইটের পাশাপাশি নজরকাড়া দুইটি বর্ণিল ফোয়ারা রয়েছে এ পার্কে। ফলে সন্ধ্যার পর পার্কটি আলো ঝলমল হয়ে ওঠে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি থেকে পার্কটিকে সুরক্ষার জন্য পুরো এলাকা তিন ফুট উঁচু করা হয়েছে।
পার্কে প্রবেশের জন্য ছয়টি ফটক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মাঠজুড়ে লাগানো হয়েছে ৬৫ প্রজাতির ১০ হাজার গাছের চারা।

পার্কে বেড়াতে আসা শিক্ষক জমির উদ্দিন জানান, এ ধরনের উন্মুক্ত একটি পার্ক এখানে হওয়ায় আমরা খুশি। যদি দীর্ঘমেয়াদে ফোয়ারার রক্ষণা-বেক্ষণ করা হয়, তবে শুধু স্থানীয়দের নয়, দেশি-বিদেশি পর্যটকদেরও দৃষ্টি কাড়বে।
নগরীর বন্দর টিলা থেকে পার্কে আসা দর্শনার্থী ফারজানা খানম বলেন, চট্টগ্রামের এ জাম্বুরী মাঠ এখন বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে। কেউ নিজের চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য বুঝানোর ক্ষমতা নেই।
বিনা ফিতে উন্মুক্ত করার বিষয়টিও আমাদের জন্য আরো ভাল হয়েছে। অবসর সময়ে একটু বিনোদনে আশায় এ পার্কে আসা যাবে, যোগ করেন তিনি।