মানবাধিকার সংগঠনটির তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ১৪১৩ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৯: আসকের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সিনিয়র উপপরিচালক নিনা গোস্বামী বলেন, ‘এই হার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। ৭৬ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১০ জন আত্মহত্যা করেছেন।’
প্রতিবেদনে তুলে ধরা তথ্য থেকে দেখা যায়- গত বছরের তুলনায় গুমের সংখ্যা কমলেও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন বেড়েছে।
‘১৩ জন গুমের শিকার হন। এর মধ্যে পাঁচজন তাদের পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন। তবে আটজনের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি,’ বলেন নিনা গোস্বামী।
রিপোর্টে বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে।
‘এ বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ৩৭ জন খুন হয়েছেন। ছয়জনেরও বেশি নির্যাতনের কারণে মারা গেছেন। গত বছর সীমান্ত মারা যান ১৪ জন,’ বলেন নিনা।
আসকের তথ্য অনুযায়ী- ২০১৯ সালে দেশে ৪৮৮ শিশুকে হত্যা করা হয়। এরমধ্যে কয়েকজনকে অপহরণের পর খুন করা হয়। ‘আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৪১৯। এছাড়া এবছর ১৬৯৬টি শিশুকে নির্যাতন করা হয়।’
১৪২ জন সাংবাদিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় দুর্বৃত্ত ও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন।
দেশব্যাপী রাজনৈতিক সংঘর্ষে ৩৯ জন নিহত হন এবং ২৬৮৯ জন আহত হন, বলেন নিনা।
আসকের মহাসচিব তাহমিনা রহমান, নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজ ও সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।