আইন ও সালিশ কেন্দ্র
গত ৩ মাসে ১২৮ শিশু হত্যার শিকার হয়েছে: আসক
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বৃহস্পতিবার এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত তিন মাসে দেশজুড়ে অন্তত ১২৮ শিশু নিহত হয়েছে।
এছাড়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আরও ২২৫ শিশু বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট আইনি সহায়তা ও মানবাধিকার গোষ্ঠী আসক তাদের মাসিক বুলেটিনে এই ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে নিহত শিশুদের মধ্যে ৫৯ শিশু ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে, ২৯ জন শিশু ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে এবং ২৭ জন শিশুর বয়স শূন্য থেকে ৬ বছর।
২২৫টি নির্যাতিত শিশুর মধ্যে কমপক্ষে ২৪ শিশু বিভিন্ন যৌন হয়রানির শিকার এবং ২৫টি ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১৩ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৭ জন এবং মার্চে ২৮ জন মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯ মাসে ৩৪ নারী ধর্ষণের পর হত্যা: আসক
চলতি বছর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে, দেশে ৩৮৮ বিচার বহির্ভূত হত্যা: আসক
১ বছর আগে
নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
গত ১৮ জুন নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ জুলাই) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এর আগে গত ৪ জুলাই সোমবার আসকের পক্ষে এ রিট দাখিল করেনআইনজীবী লুতফে জাহান পূর্ণিমা।
গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে রাহুল দেব নামে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র নুপুর দেবকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র তৈরি হয়। শিক্ষক স্বপন কুমার ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ অভিযুক্ত ছাত্রকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর থেকে বাড়ি না ফিরে নিজেকে আড়াল করেছেন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার।
এদিকে ঘটনার ১০ দিন পরে ২৭ জুন বিকালে সদর থানা পুলিশ বাদী হয়ে সহিংসতার দায়ে অজ্ঞাত ১৭০ থেকে ১৮০ জনের নামে মামলা করেছে। পরে এ মামলায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পড়ুন: নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
২ বছর আগে
পরীমণির রিমান্ড: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে তাঁরা সতর্ক থাকবেন বলে আদালতের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দুই ম্যাজিস্ট্রেটের আইনজীবী ইতিপূর্বে দেয়া লিখিত ব্যাখ্যা পড়ে শোনান। আদালত শুনানি নিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। পাশাপাশি মাদক মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
দুই বিচারকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে জেড আই খান পান্না, পরীমণির পক্ষে মজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
ক্ষমা প্রার্থনাকারী দুই বিচারক হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। দেবব্রত বিশ্বাস দ্বিতীয় দফায় পরীমণির দুই দিন এবং আতিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান। গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও তার সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
এ মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিন দেরিতে নির্ধারণ করা নিয়ে জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরীমণি। এই আবেদনের শুনানি করে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমণির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন। এছাড়া পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। হাইকোর্টের এই রুল জারির পর গত ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
অন্যদিকে হাইকোর্টে পরীমণির আবেদনের শুনানিতে তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে দুই বিচারকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান। দুই বিচারক ব্যাখ্যা দেন, যা ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রথম দফায় তাঁদের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে আবারও লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ও ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন দুই ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
৩ বছর আগে
যৌন হয়রানি রোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন চেয়ে রিট আসকের
শিক্ষাঙ্গন ও কর্মস্থলে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এক যুগেরও বেশি সময় আগে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাস্তবায়ন চেয়ে রিট করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসকের) পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান ও সৈয়দা নাসরিন রিটটি করেন। রিটে জনপ্রশাসন সচিবসহ ৪৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল ইসলাম মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
পরে মো.শাহিনুজ্জামান জানান,২০০৯ সালে হাইকোর্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি গাইডলাইন দেন। এতে সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি করে কমিটি গঠনসহ বেশ কিছু নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই। এমনকি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতেও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোন কমিটি নেই। এজন্য ওই রায় বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে আমরা রিট করেছি।
জানা যায়,বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন। এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ নামে কমিটি গঠন করার আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের পর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসি একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই যৌন নির্যাতন বন্ধে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রের কঠোর নির্দেশ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য থাকবে। এ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দু’জন সদস্য নিতে হবে। আরও বলা হয়,সম্ভব হলে একজন নারীকে কমিটির প্রধান করতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা ও জনমত তৈরির জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে,সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গীয় সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিক নির্দেশনাটি বই আকারে প্রকাশ করতে হবে।
হাইকোর্টের এ নির্দেশনা আইনে রূপান্তর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ নির্দেশনাই আইন হিসেবে কাজ করবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
হাইকোর্টের রায়ে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় বলা হয়, শারীরিক ও মানসিক যে কোনো ধরনের নির্যাতনই যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে। ই-মেইল, এসএমএস, টেলিফোনে বিড়ম্বনা, পর্নোগ্রাফি, যে কোনো ধরনের অশালীন চিত্র,অশালীন উক্তিসহ কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলাও যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে।
শুধু কর্মস্থল কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এ ধরনের হয়রানি ঘটে না, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অশালীন উক্তি,কটূক্তি করা,কারও দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো ইত্যাদিকে যৌন হয়রানি হিসেবে গণ্য করা হবে। রায়ে বলা হয়, কোনো নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা,মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন,অশালীন চিত্র,দেয়াল লিখন, আপত্তিকর কিছু করাও যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হাসপাতালে ভর্তির সময় কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ও র্যাগিং বন্ধে হাইকোর্টে রিট
৩ বছর আগে
জামিন: পরীমণির তো হলো, অন্য দুজন মেয়ের কথা কে বলবে?
সারা দেশ কাঁপিয়ে পরীমণির জামিন হলো। বেশ জনপ্রিয় একটি বিষয়। বিভিন্ন টকশো, ওয়েবিনার, আলোচনা সভায় তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই তার সাহসের কথা বলছেন। আমরাসহ সবাই খুশি। কিন্তু আর দুজন পিয়াসা আর মৌ, তাদের কথা কি হারিয়ে গেছে? তাদের কথা কে বলবে? পরীমণি চর্চার মাঝখানে আমরা কি তাদের ভুলে গেছি?
কোনো আলাদা অপরাধ নয় তাদের
তাদের যে অপরাধ সেটা একই-মদ, ইয়াবা, ব্ল্যাকমেইল… তাদেরই প্রথম ‘রাতের রানী’ নাম দেয়া হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘এরা দিনে ঘুমায় আর রাত ভর পার্টি করে। তারা বড়োলোকের ছেলেদের সাথে ফষ্টি নষ্টি করে, ছবি তোলে, তারপর ব্ল্যাকমেইল করে’ ইত্যাদি। তাদের বেশি দিন রিমান্ড হয়নি, পরে সেখান থেকে জেলে। তাদের জন্য কোনো আন্দোলন হয়নি, তাদের কোটি কোটি সমর্থক নাই। সেই কারণেই কি তাদের জামিনের জন্য কেউ হাইকোর্টে রিট করেনি?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র কেবল পরীমণির জন্য রিট করলো কেন? তারা তো দেশের নামজাদা আইন সহায়ক ও নারী অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, কি হতো আর দুই-তিনটা নাম জুড়ে দিলে?
জামিনের অধিকার সবার আছে। তবু সবার কথা তুলছি না, পিয়াসা আর মৌয়ের কথা বলছি। কারণ তারাও কারো না কারো কন্যা, যে কোনো কারণেই হোক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত তবে বিচার হয়নি এখনো। তাই জামিন চাওয়াটা কি অপরাধ? পাওয়াটা কি অন্যায়?
তাদের মুক্তি-জামিন হয়তো কোনো রাজনৈতিক বিজয় হবে না। হয়তো তারা কাউকে ‘বিচ’ বলবে না, পত্রিকা হেডলাইন করবে না, টকশো হবে না কিন্তু রাষ্ট্রের যে শক্তি তাতে তাদের জামিন দেয়াটা কিছুই নয়। সেই কারণেই বলছি।
আমাদের আন্দোলন ব্যক্তির জন্য হয়ে গেলে, যে উদ্দেশে এতো সব কথা, লেখা, মানববন্ধন সবই দুর্বল হয়ে যাবে। পরীমণির জামিন লাভে অনেকে রাজনৈতিক অর্জন খুঁজে পেয়েছেন, কেউ পেয়েছেন আদর্শগত বিজয়। সবার জামিন হলে সমাজের তেমন কোনো লাভ হবে না হয়তো। তবে প্রমাণ হবে গ্রেপ্তার হওয়ার বেলায় সব অপরাধী যেমন সমান, জামিন পাওয়ার ব্যাপারেও তাই। ওদের জামিন দিন।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন ও ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’
পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
৩ বছর আগে
চলতি বছর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে, দেশে ৩৮৮ বিচার বহির্ভূত হত্যা: আসক
দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি ২০১৯ সালে ৩৮৮টি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘঠেছে এবং সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে বলে মঙ্গলবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
৪ বছর আগে