তিনি বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট তৈরিতে জার্মানির একটি বিখ্যাত কোম্পানি কাজ করছে। এ পাসপোর্ট চালু করতে আমরা কাজ শেষ করে রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে জুলাই মাসেই তা উদ্বোধন করা হবে।’
সরকার ইতোমধ্যে ২ কোটি ৬০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বিতরণ করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ)’ নবনির্বাচিত কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক এক ব্যক্তির কাছ থেকে জোর করে জমি লিখে নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তার অপরাধ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই বিচার হবে।’
মামলাজটের কারণে অনেক ঘটনার বিচার সম্পন্ন হয়নি উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘বরগুনার রিফাত হত্যার ঘটনায় খুব দ্রুত সময়ে অভিযোগপত্র দিয়ে দেব, যাতে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায়। ফেনীর ঘটনার বিচারও শুরু হয়েছে। মামলার অনেক জট রয়েছে, তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
‘মাদকের মামলার জন্য একটি আদালত করার কথা, সেটি না হওয়ায় সচিবসহ আমাদের হাইকোর্ট তলব করেছে। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি। বাকিটা সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে,’ যোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সমাজের শুরু থেকে এ ধরনের অনাচার হয়েছে, আবার সামাজিক প্রতিকারও হয়েছে। সারা পৃথিবীতে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা কম বা বেশি হচ্ছে তা বলব না, তবে ঘটনা ঘটছে। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশে সামাজিক শাসন হারিয়ে যাচ্ছে। আগে এসব ঘটনা আড়ালে হত, এখন দ্রুত জনগণের সম্মুখে চলে আসে।’
হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের জন্য সামাজিক শাসন ও মূল্যবোধের অভাবকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি, করে যাব। শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। যারা অপরাধ করছেন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের কাছে তুলে দিচ্ছি।’
সমাজকে আরও সচেতন করতে পারলে ধর্ষণ ও হত্যা কমে আসবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
পুলিশের অভিযোগপত্রের ফাঁকফোকরের কারণে অনেক অপরাধীর মুক্ত হয়ে যাওয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে পুলিশকে আমরা প্রশিক্ষিত করছি। পুলিশ স্টাফ কলেজ ও সারদা পুলিশ একাডেমিতে নির্ভুল অভিযোগপত্র দেয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভুল সবাই করতে পারে, আবার কেউ ইচ্ছাকৃতও করতে পারেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে অথবা তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করছি।’
বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মাসউদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানাসহ সংগঠনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।