রবিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুন ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে কাজের গতি কিছুটা কমেছে।’
‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক বলেন, এ প্রকল্পের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতে হয়। করোনা মহামারির কারণে এ সকল যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তাই কাজের গতি কিছুটা কমেছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিভিন্ন প্রকল্পের চলমান সার্বিক কার্যক্রমে খাদ্যমন্ত্রী হতাশা প্রকাশ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এ্যাকশান প্লান থাকা দরকার। একটা স্ট্রাটেজিক প্ল্যান এবং রোডম্যাপ থাকা দরকার। কোন কাজ কখন, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে থাকতে হবে।’
মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালকদের পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের আরসি ফুড, ডিসি ফুডদেরও খাদ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিটি প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুসারে কাজগুলো হচ্ছে কিনা সেদিকে প্রকল্প পরিচালকদের পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরও লক্ষ রাখতে হবে যাতে কাজের মান ভালো হয়।’
‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ প্রকল্পের পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের মধ্যে 'সারাদেশে ১ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ', 'আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্প', 'সারাদেশে পুরাতন খাদ্যগুদাম অনুষঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং অবকাঠামো নির্মাণ', 'দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা সহ সমন্বিত রাইস মিল নির্মাণ' প্রকল্প চলমান রয়েছে।