বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে জানান, বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে বিজি ৭০০২ ফ্লাইট যোগে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
চীন থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩০১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৫ জন শিশু রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিশেষ বিমান যোগে বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত আনার অনুমতি দেয় চীনের বিমান কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ব্রিফিংয়ে জানান, ফেরত আসতে যাওয়া কোনো বাংলাদেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে চীন সরকার নিশ্চিত করেছে। উহান থেকে ফেরত আসাদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, চীনে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ১১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে হুবেই প্রবেশ ও তার রাজধানী উহানে। চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে ২৫৯ জনে। চীনের বাইরে এখনও কেউ মারা যায়নি।
মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ঠিক কীভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে এবং এটি কতটা মারাত্মক, তা বোঝার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের মানুষদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশে মানবদেহের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।