‘বাংলাদেশ-চীন উন্নয়ন সহযোগিতা: অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা চীনা বিনিয়োগকারীদের চাহিদা জানতে কর্তৃপক্ষের সাথে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৮০০ একর জমিতে চীনা ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশটির বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে।
তিনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
দুদেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের কথা উল্লেখ করে শাহরিয়ার বলেন, কোভিড-১৯ অবস্থার উন্নতি হলে এ জাতীয় আরও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে।
টিকা কূটনীতি, রোহিঙ্গা সংকট, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) মতো বৈশ্বিক উদ্যোগ নিয়েও এ সময় আলোচনা হয়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল আনম মুনিরুজ্জামান এনডিসি, পিএসসি (অব.), ইনস্টিটিউট ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ, ইউনান সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমি, কুন্মিং চীনের অধ্যাপক চেং মিন এবং চীনের বেইজিংয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজ ইনস্টিটিউট অব কনটেম্পোরারি ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. ওয়াং শিদা অলোচনায় বক্তব্য দেন।
ভার্চুয়াল সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
এই বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪৫তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।
বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বক্তারা জানান।
ভার্চুয়াল সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল চীনের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করা এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের মাধ্যমে ভবিষ্যতের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা।