দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং জর্ডানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। জর্ডানে কোভিড জনিত বাধ্যবাধকতার কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘১৭ মার্চ বাংলাদেশিদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন বাঙ্গালির মুক্তির মহানায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কোন পরাধীন জাতি ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীনতার আস্বাদ গ্রহণ করতে পারে না যতক্ষণ না একজন বিচক্ষণ ও সাহসী রাষ্ট্রনায়ক এবং নেতার আগমন না ঘটে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য এমনই একজন বিচক্ষণ, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও সাহসী রাষ্ট্রনায়ক এবং নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন যার জন্ম বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।’
নাহিদা সোবহান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশিদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের মানচিত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি ছিলেন বাঙ্গালির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি সেকুলার দেশ এবং একটি উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন জাতি ধর্ম জেন্ডার নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশির সমান অধিকার। তাই স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি আধুনিক মানবিক সংবিধান রচনা করতে সমর্থ হয়। তার নেতৃত্বেই একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন দেশ ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখছিল।
আরও পড়ুন: রাজনীতি যেন উল্টো পথে হাঁটছে: রাষ্ট্রপতি হামিদ
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং দূরদৃষ্টির ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তাই দেশ আজ এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিশ্বের কাছে আজ এক অপার বিস্ময়।’
রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর নৈতিকতা বোধ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার আদর্শ এই প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।