১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর নামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী বর্বর হামলা চালায়। এদিন রাতে তারা বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করে এবং বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। দিনটির স্মরণে শুক্রবার জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করবে বাংলাদেশ।
স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার রাত ৯টায় দেশব্যাপী প্রতীকী এক মিনিট ‘ব্ল্যাক আউট’ ও নীরবতা পালন করা হবে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ম্যান্ডেটের পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণকে ব্যর্থ করতে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নে ঢাকায় গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের আশ্রয় নেয়।
আরও পড়ুন: টোকিওতে গণহত্যা দিবস পালিত
‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর নামে ওই হামলায় পাকিস্তানি বাহিনী ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙালি সদস্য এবং পুলিশ, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
পাকিস্তানি বাহিনী এ দিন নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে এবং পরবর্তীতে পশ্চিম পাকিস্তানে উড়ে যাওয়ার আগে ওই রাতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
২০১৭ সালের ১১ মার্চ দিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের এক প্রস্তাব জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এরপর থেকে দেশে ষষ্ঠবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস: খুনিদের ফাঁসি দেখতে চান স্বজনরা
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি পালনে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং গণহত্যা নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সেমিনার ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে এবং জাতীয় দৈনিকগুলো দিবসটি উপলক্ষে সাপ্লিমেন্ট প্রকাশ করবে।
এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করবে।