জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বৃহস্পতিবার যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়েছে।
টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে কালো ব্যাচ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে দোয়া (মোনাজাত) করা হয়। এছাড়া দিবসটি স্মরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বানী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় গণহত্যা দিবস আজ
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাঙ্গালি জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী সেদিন যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিল তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। কিন্তু তারা বাংলার মুক্তিকামী মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ত্রিশ লাখ প্রাণ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বীর বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিজয় ছিনিয়ে আনে।’
আরও পড়ুন: রাতে সারা দেশে ১ মিনিট ব্ল্যাকআউট
রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা নিজস্ব স্বাধীনতা ও জাতীয় পরিচয় পেয়েছি। আমাদের এই স্বাধীনতার মূল্য আরও বেশি করে অনুধাবন করতে হবে আর সেজন্য ১৯৭১ সালের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক বেশি গবেষণা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে ও বিশ্বের কাছে গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। ভবিষ্যতে পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে গণহত্যা সংগঠিত হতে না পারে সেলক্ষ্যে বাংলাদেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে একযোগে কাজ করে যাবে।
আলোচকরা গণহত্যা দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ প্রদর্শন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।