তিনি বলেন, ‘জেলখানার ভেতরে যারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তাদের অনেকের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। বাকী খুনিদের ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। একে একে সবাইকে আনা হবে এবং রায় কার্যকর করা হবে।’
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে সংরক্ষিত জাতীয় চার নেতার হত্যাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা হত্যার সাথে শুধু বিপথগামী সেনাসদস্যই নয় এর পেছনে আরও বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিল এবং যারা সেই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।’
যথাযথ মর্যাদা সহকারে আজ (মঙ্গলবার) দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে জেল হত্যা দিবস।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
এই চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই সরকার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণি দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী সংগঠন ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নানা কর্মসূচি পালন করছে।