স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবর তারা সর্বনাশ করেছিল। তাদের নেতা ইংল্যান্ড থেকে নির্দেশনা দেন, কিন্তু তাদের কর্মীদের কী হবে তা নিয়ে ভাবেন না। তাদের ভুল অনুধাবন না হলে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি আসনে জয়লাভ করেছিল। ২০১৪ সালে, তারা নির্বাচন না করেই ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিল এবং মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
গত নির্বাচনে বিদেশিদের ভূমিকা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশ অনেক কথা বলে, সবাই জানে সেখানে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। কিছু উন্নত দেশে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে। আমাদের ভোট ৪২ শতাংশ। কেউ যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলেও আমাদের কিছু বলার নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এদেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার কথা ভাবছেন। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিপ্লব হাসান পলাশ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস আরব আমিরাতের
বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে দুই দেশ একত্রে কাজ করারও আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে এ আশ্বাস দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেনেন্ট জেনারেল শেখ জায়েদ আল নাহিয়ান।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত
এসময় শেখ জায়েদ আল নাহিয়ান বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক নিয়ে আলোকপাত করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে শেখ নাহিয়ান আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং দুই দেশের সুবিধাজনক সময়ে তিনি ভ্রমণ করবেন বলে জানান। বৈঠক শেষে দুই নেতা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ দুবাই এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী কর্মীদের ‘কোভিড টেস্ট ফি’ দেবে মন্ত্রণালয়
এদিকে, সন্ধ্যায় দুবাইয়ের একটি হোটেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ট্রেড ও ইকোনমিক মিনিস্টার এবং ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল ড. আহমেদ নাছের আল রাইছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ট্রেড ও ইকোনমিক মিনিস্টার ব্যবসা বাণিজ্যসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
২ বছর আগে
কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটিয়েছে। দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক নেই। এখন সব নিয়ন্ত্রণে আছে।’
বৃস্পতিবার সচিবালয়ে মিটিং শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কুমিল্লা ঘটনার দিন রাতে মাজার মসজিদে তিন বার গেছেন এই লোক। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সুনিশ্চিত যে, মসজিদে থেকে কোরআন শরীফ নিয়ে তিনি এখানে রেখেছেন। প্ল্যান মাফিক করেছেন, কার নির্দেশে করেছে। কারো প্ররোচনায় হয়তো করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বলা যাবে মোটিভটা কী ছিল? সাজানো ঘটনা থাকতে পারে। জিজ্ঞেস করা হলে সব জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে ধারণা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে ধারণা করছি।’
রবিবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে এ ঘটনাগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। যে ঘটনাগুলো যারা করছেন এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কারো ইন্ধনেই করছেন।’
কারা এ ঘটনার পেছনে আছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সরাসরি উত্তর দেননি। তবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অনুমান করে নেন কারা করতে পারে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ এলে আমরা প্রকাশ করবো।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এই ঘটনার পেছনে অবশ্যই কোন কারণ আছে। কিছুদিনের মধ্যে আমরা আরও পরিষ্কার করে বলতে পারবো। কুমিল্লার ঘটনায় আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি খুব সিরিয়াসলি দেখছে। আমরা একটি নির্ভুল তদন্তের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনা আপনাদের শিগগিরই জানাবো বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের লোক ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই ঘটনানো হয়েছে। এটা যেই করেছেন বা কার ইন্ধনে করেছেন তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। আমরা প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।’
পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
মন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লা ঘটনায় তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত করে শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শুধু কুমিল্লায় নয়, রামুতে, নাসিমনগরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা করে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিই মূল উদ্দেশ্য। আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাসকে কোনো দিন স্থান দেইনি। সবাই একত্রিত হয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসকে দূর করেছিল। তাছাড়া এ ঘটনায় আমরা অনেক কিছু দেখছি, অনেক কিছু অনুমান করছি। এখন শুধু প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরব।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনার পরপরই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ এলাকায় চারজন প্রাণ হারিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজারে ছোট ছোট ঘটনা ঘটেছে। হাজীগঞ্জ ও নোয়াখালীতে প্রাণহানির ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
পড়ুন: ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি
দেশের বাইরের কারো ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের লোকেরই তো অভাব নেই। দেশের বাইরে থেকে কলকাঠি কেউ নাড়ছে কি না সেগুলোও তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এর মধ্যে ফেসবুকে অনেক কিছু শুনেছেন, আমরা সবগুলো আমলে নিয়ে বিশ্লেষণ করে আপনাদের শিগগিরই জানাব।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকার তাদের এজেন্সি দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কিছু বলেন যেগুলো তথ্যভিত্তিক নয়, উদ্দেশ্যমূলক, এগুলো বলার জন্য বলেন।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি সারাদেশে রিকশা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পিছনের চাকায় কোন ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এই ধরনের দৃশ্য আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি হাইওয়েগুলোতেও এই রিকশা চলে আসছে। এজন্য সারাদেশে এই ধরনের রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশার বিষয়ে আমরা বলছি না। প্যাডেল চালিত রিকশাকে যারা ইঞ্জিন দিয়ে রূপান্তর করেছেন সেই সব রিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আজকের সভায় হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার নমনীয় নয়, ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেই কমিটির ১১১টি সুপারিশ ছিল। পরে এ বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে, অল্প কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করব আমরা সেই বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।
আরও পড়ুন: আবু ত্ব-হা আদনানের ক্লু বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্যাটারি চালিত রিকশার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু অটোরিকশা যানজটের কারণ এবং দুর্ঘটনাও ঘটছে। এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসছে কী না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নসিমন, করিমন, ভটভটি এবং ঢাকা শহরে বিভিন্ন রকমের অটোরিকশা চলছে। আমরা এখনও যানবাহনের সঠিক ব্যবস্থা করতে পারিনি। গ্রামাঞ্চলে সুন্দর রাস্তা হয়ে গেছে। সেখানে রিকশা, সাইকেল কিংবা মোটর সাইকেল ছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। সেজন্য নসিমন, করিমন-এগুলো যানবাহনের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের আলোচনা হবে, যাতে করে খুব শিগগিরই এটাকে পরিমিত এবং ফাইনালি বন্ধ করা যায়। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করবো।
আরও পড়ুন: হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, 'ইজিবাইক যথেষ্ট পরিমাণে এসে গেছে। ছোট-ছোট গলিতে এগুলো চলার কথা ছিল। কিন্তু এখন এগুলো সর্বত্র বিচরণ করছে। আমাদের ঢাকা শহরে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার মোটরচালিত রিকশা এবং ভ্যান ডেস্ট্রোয় (ধ্বংস) করে দিয়েছি। ইজিবাইকগুলো নিয়ন্ত্রণ করে দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন তাদের নির্দিষ্ট স্থান থেকে বের হতে না পারে। হাইওয়ে বা বড় রাস্তায় না আসতে পারে। এটাও ক্রমান্নয়ে বন্ধ করা হবে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা হাইওয়েতে এখন ক্যামেরা ফিট করছি। ক্যামেরার টেন্ডারও হয়ে গেছে। ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের রাস্তাটি পুরোপুরি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তাহলে কিভাবে এক্সসিডেন্ট হল, কে গাড়ি নামালো, সবগুলোই আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আমাদের পুলিশ বাহিনী ওখানে বসে বসে দেখতে পারবে কে কি করছে।’
তিনি জানান, ইজারাকৃত জায়গায়, স্থানীয় সরকার পরিচালিত নির্ধারিত ফি, টোল, পরিবহনের টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোনো জায়গা থেকে চাঁদা আদায় করতে পারবে না। নির্ধারিত স্থান থেকে টোল বা রাজস্ব আদায় করতে হবে। সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যারা বাস চালায় তারা সবসময় বলে বিভিন্ন ধাপে-ধাপে চাঁদা দিতে হয়। এটার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও জড়িত। সেক্ষেত্রে কিভাবে পুরোপুরি আশা প্রকাশ করছেন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। এটিতো দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, কোটি-কোটি টাকা চাঁদা বাণিজ্য চলে-একজন সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুললে মন্ত্রী বলেন, 'চাঁদা বাণিজ্যের কথা আমি বলব না, আমি বলবো একটা টোল আছে, সেটা দিতে হবে। সেটা কোথা থেকে নেবে, কীভাবে এবং কত টাকা নেবে সেটা নির্ধারিত হবে। সেই জায়গা ছাড়া এই টোল কেউ নিতে পারবে না। পরিবহনের যে চাঁদা, যেটা মালিক বা শ্রমিকরা নিয়ে থাকে সমিতি চালানোর জন্য, সেটাও নির্ধারিত রয়েছে, সেটাও বাস টার্মিনাল বা যেখান থেকে বাস ছাড়েন এর বাইরে কেউ নিতে পারবে না।’
ঢাকাতেও আমরা দেখি বিভিন্ন ঠিকাদারের নামে বিভিন্ন সিগন্যালে রানিং গাড়ি থেকে চাঁদা নেয়া হয়, এটা সবাই জানে-আরেকজন সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুললে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা জানিয়ে দিচ্ছি, যে-যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্ব স্ব মন্ত্রণালয় বসে তাদেরকে জানিয়ে দেবে, এ সকল চাঁদাবাজি কিংবা যত্রতত্র কালেকশন যাতে না করে।’
পরিবহন শ্রমিকদের মালিকপক্ষ থেকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেটা দেওয়ার জন্য মালিক ও শ্রমিক পক্ষ আজ উপস্থিত ছিলেন। তারা দুই পক্ষ নিজেরা বসে এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
গত ২৩ ডিসেম্বর যে মিটিং হয়েছিল সেখানে আজকের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ৬ মাসে কেন বাস্তবায়ন হয়নি-জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সড়ক আইনের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে আছে, মালিকদেরকে অবশ্যই নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেই আইনটি পাস হয়েছিল। সেটি পরিশুদ্ধ করে আবার পার্লামেন্টে আসছে। এটা নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। আমরা দীর্ঘ আলাপ করেছি। চালক এবং শ্রমিকরা বিভিন্ন সময় জায়গা পাল্টায়। এক মালিক থেকে আরেক মালিকের কাছে চলে যায়। নানান ধরণের কথাবার্তা আসছে। সেজন্য বলে দিয়েছি, দুই পক্ষই বসে খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা করে দিতে।''
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই ব্যবস্থা না করলে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এখানে আছেন, বিআরটিও ব্যবস্থা নেবে। যাতে করে তারা রেজিস্ট্রেশন করার সময় সেগুলো চায়, না দেখাতে পারলে রেজিস্ট্রেশন দেবেন না, সে ধরনের একটা কথাবার্তা চলছে।’
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়া: বিদেশ নেবার অনুমতি দেয়নি সরকার
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেবার জন্য অনুমতি দেয়নি সরকার।
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশ যাত্রা: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের নথি স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে
আসাদুজ্জামান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই একটা আবেদন নিয়ে আসছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আপনারা জানেন যে তিনি (খালেদা জিয়া) আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে প্রিজনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে মানবতার তাগিদে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর (১) ধারা অনুযায়ী তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে সুবিধামতো চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং বাসায়ই অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
মন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) হঠাৎ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এর মধ্যে তার ছোট ভাই আবার আসছিলেন এবং আবেদন করেছিলেন, তিনি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন আমাদের। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য সেখানে পাঠিয়েছিলাম। সেটাও আপনারা জানেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনা নেগেটিভ
তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে যে মত আসছে, তারা স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন, ৪০১ ধারায় সাজা স্থগিত করে যে সুবিধাটি দেয়া হয়েছে, এটা দ্বিতীয় বার তার সাজা মওকুফ করে তাকে বিদেশে পাঠানোর কোন অবকাশ এই ৪০১-এ দ্বিতীয়বার নেই। এটা তারা জানিয়ে দিয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষে সেই সাজাটা স্থগিত হয়েছিল যে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না বা বাসা থেকেই চিকিৎসা নেবেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী, আমরা তাদের আবেদনটা মঞ্জুর করতে পারছি না। এখন তাদের আমরা এটাই জানিয়ে দিব।’
বিএনপির অভিযোগ করছে সরকারের কারণে বেগম জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা করা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কি অভিযোগ করল সেটা প্রশ্ন আসে না। আমাদের আইন অনুযায়ী যেটুকু করণীয় আমরা সেটুকু করছি। যেখানে মানবতার প্রশ্ন এসেছে সেটাও আমরা করেছি। বিএনপি আবেদন করতেই পারে। আইনের বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারি না।
উল্লেখ্য, দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দী ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে-এই দুটি শর্তে তার দণ্ড স্থগিত করা হয়।
৩ বছর আগে
মুনিয়ার মৃত্যু: দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস মন্ত্রীর
মুসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর জন্য যারা দোষী বলে অভিযুক্ত হবেন তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে বলে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন।
বুধবার ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার চায় মুনিয়ার পরিবার
তিনি বলেন, 'আমি স্পষ্টভাবেই বলছি যে আইন অনুসারে সবকিছু হবে ... আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যেই অপরাধী হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তাই, তদন্তের পরেই আমরা এ বিষয়ে আরও কিছু বলতে পারব।'
সোমবার ঢাকার গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কুমিল্লা জেলার মনোহরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শফিকুর রহমানের মেয়ে ২১ বছর বয়সী মুসারাত জাহানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
লাশ উদ্ধারের পর নিহতের বোন নুসরাত জাহান মঙ্গলবার সকাল দেড়টার দিকে গুলশান থানায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায়, নুসরাত জাহান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে ২১ বছর বয়সী এই কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত করেছেন।
৩ বছর আগে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে সরকার
করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) জারি করা ১৮ দফা নির্দেশনাগুলো কার্যকর করার লক্ষ্যে কঠোর অবস্থান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিযেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪৬৯ শনাক্ত এবং এর আগে টানা কয়েকদিন সংক্রমণ ৫ হাজারের বেশি হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে জানিয়েছন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ জনবল দিয়ে অফিস কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪৬৯ শনাক্ত, মৃত্যু ৫৯
তিনি বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা বুধবার থেকেই বাস্তবায়ন শুরু করেছি। বৃহস্পতিবার থেকে অন্যান্য সকল মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি ডিউটি রোস্টার করে দিবে। অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী তিনদিন অফিসে এসে কাজ করবেন এবং দুই দিন বাসায় থেকে কাজ করবেন। বাকিরাও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই নিয়মে কাজ করবেন।
গর্ভবতী নারী, ৫৫ বছরের বেশি বয়স, অসুস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন তারা বাসা থেকে অনলাইনে কাজ করবেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এছাড়াও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান এবং অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশ কর্মী অফিসে এসে এবং বাকিরা অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়েও আমরা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করছি। অপ্রয়োজনে কেউ যাতে রাত ১০টার পর বাইরে না যায়, সেটি আমরা নিশ্চিত করব। এ বিষয়ে আমাদের পুলিশ প্রশাসন কাজ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুই সপ্তাহ পর্যন্ত আমরা এ সিদ্ধান্তগুলো পালন করব এবং ১২ এপ্রিলের পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার ১৮ দফা নির্দেশনা জারির পর করোনার সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারের দেয়া নির্দেশনাগুলো জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্টদের মেনে চলতে কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করেছে পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ইউএনবিকে বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে এবং পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা: সিলেটে ১১টি বিধি-নিষেধ জারি করল জেলা প্রশাসন
এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য নির্দেশনা বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখার জন্য প্রশাসন সব কিছু করবে।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে দেশে কোন হাসপাতালেই রোগী রাখার জায়গা থাকবে না। এজন্য করোনা বৃদ্ধি ঠেকাতে এখনই দলমত নির্বিশেষে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ১৮ দফা নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নসহ সকল স্থানে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে না পারলে আগামীতে এই প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য নির্দেশনা অনুসরণ করতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: অনির্দিষ্টকালের জন্য মিরপুর ও রংপুর চিড়িয়াখানা বন্ধ
পরিবহনে বিধিনিষেধ
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ইউএনবিকে বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে বুধবার থেকেই ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘৫০ শতাংশ টিকিটের মধ্যে অর্ধেক বিক্রি হবে অনলাইনে এবং বাকি অর্ধেক বিক্রি হবে স্টেশন থেকে। আমরা এর আগেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন পরিচালনা করেছি। এবারও সরকারের নির্দেশনা শতভাগ নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছি । স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আমরা কোন যাত্রী পরিহন করব না । প্রতিটি ট্রেন ও স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মানতে যা যা করার দরকার তাই করব।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিবস খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ইউএনবিকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকাসহ সারা দেশে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন শুরু করেছি। প্রতিটি বাস স্প্রে করা হচ্ছে ও পরিষ্কার রাখা হচ্ছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা কার্যকরের লক্ষ্যে বুধবার থেকে বিআরটিএ সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। যদি কোন বাস নির্দেশ না মানে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌ যান চলাচল করবে। নৌযানেও ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিহন করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীরা লঞ্চে উঠবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ ‘র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাজ্য ছাড়া পুরো ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলের ১২টি দেশ থেকে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১২টি দেশ হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, সাউথ আফ্রিকা, তুরস্ক, উরুগুয়ে।
তিনি বলেন, ৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যেসব এয়ারলাইন্স এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করে, তারা নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে কেবল ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার আনতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে ওই যাত্রীদের সেসব দেশে ট্রানজিটের সময় অবশ্যই বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের মধ্যে থাকতে হবে।
মফিদুর রহমান বলেন, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারা বেবিচক নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার অথবা নির্ধারিত হোটেলে থাকবেন। অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদেরও ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে আগত ও বাংলাদেশ ত্যাগ করবে, প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনার নেগেটিভ সনদপত্র সাথে রাখতে হবে (যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা দিতে হবে)।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর ও ফ্লাইটে সব যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া যেসব বিমানের প্রতি সারিতে সিট তিনটি করে, সেই ফ্লাইটের মাঝের সিটের যাত্রীকে মাস্কের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ফেসশিল্ড পরতে হবে।
তিনি জানান, সরকারের দেয়া সকল নির্দেশনা ৩০ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের সব পর্যটন জাহাজ চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং কক্সবাজার ও সিলেটের সকল পর্যটন স্পট বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে, নিয়মিত যাত্রী এবং প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস বহনকারী জাহাজগুলির চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) সপ্তাহের শেষ দিকে ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য সকল নির্বাচন স্থগিত করেছে। জাতীয় ক্রিকেট লীগও মাঝপথে স্থগিত করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে কারো দোষ থাকলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে কারো দোষত্রুটি থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারো দুরভিসন্ধি বা কারো অবহেলা কিংবা দোষত্রুটি থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
বুধবার দুপুরে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিবে। যদি প্রতিবেদনে কারো দুরভিসন্ধি বা অবহেলা পাওয়া যায় তা অবশ্যই সরকার খতিয়ে দেখবে।’
আরও পড়ুন:ভাসানচরে উৎসুক জনতা যেতে পারবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের যারা আগুনে বসতি হারিয়েছেন তাদের ভাসানচরে নেয়ার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে ভাসানচরে নেয়া হবে না। তবে ভাসান চর এখন অনেক উন্নত জায়গা। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিঃস্ব হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা যদি স্ব-ইচ্ছায় সেখানে যেতে চায় তাহলে অবশ্যই সরকার তাদের সেখানে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আমরা সব সময় বলে আসছি। বিশ্ব সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে ভূমিকা রাখুক তাই বাংলাদেশ আশা করে।’
এর আগে দুপুর দেড়টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসেন। পরে বালুখালী ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকলকেই সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গত সোমবার উখিয়া উপজেলার বালুখালীর পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সরকারি হিসেবে ১১ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। প্রায় ১০ হাজার বসতঘর পুড়ে যায় এবং ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা বসতি হারায়।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতাদের মামলার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়ার সাজা আরও ৬ মাস স্থগিত করা হতে পারে: আইন মন্ত্রণালয়
দুটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ পূর্বের শর্তে আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৩ বছর আগে