ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার প্রতিটি মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
সেই সাথে আদালত শামীমের সাত দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
রাজধানীর নিকেতনের কার্যালয়ে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে আটক করা শামীমের বিরুদ্ধে শনিবার বিকালে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব। মাদক, অর্থপাচার ও অস্ত্র আইনে মামলাগুলো করা হয়।
রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো ও মতিঝিল এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত জিকে শামীম। শুক্রবার মদ, অবৈধ অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ তাকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার সাতজন দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে র্যাব সদস্যরা শামীমের কার্যালয় ঘেরাও করে অভিযান শুরু করে।
ঘটনাস্থলে সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অভিযান চলাকালে বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা ১৬৫ কোটি টাকার নথি এবং ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদ ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করেছি।’
তিনি বলেন, জব্দকৃত টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন যুবলীগ নেতা। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও টেন্ডার কারসাজির অভিযোগ রয়েছে।
‘শামীমের মালিকানাধীন জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, সাতটি শটগান এবং বিপুল পরিমাণ গুলি জব্দ করেছি,’ বলেন সারওয়ার আলম।
তিনি জানান, আগ্নেয়াস্ত্রগুলো চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারি কারসাজির কাজে ব্যবহার করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।