দেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বাংলাদেশ সফররত ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের (বিল্ডিং অন ফিফটি ইয়ার্স অফ ফ্রেন্ডশিপ) প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
শেভরন কর্পোরেশনের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে আর প্রায়র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইউএস জেনারেল ইলেকট্রিকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী মাহেশ পলাশিকর, এক্সন মোবিলের মার্কেট ডেভেলপমেন্টের প্রধান শাহরুখ খান মির্জা এবং শেভরন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার এরিক ওয়ালকার বৈঠকে অংশ নেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমান সংকট এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় বাংলাদেশ নিজস্ব জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধান ও উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বৃহৎ কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি মধ্যপর্যায়ের মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, ক্লিন এনার্জি এবং জ্বালানির নতুন উৎস অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের তিনি বলেন, ‘অফশোর, অনশোর অনুসন্ধান, গভীর সাগরে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের পাশাপাশি প্রযুক্তি সহায়তা বিনিময়ে দুই দেশই লাভবান হবে।’
প্রতিমন্ত্রী মার্কিন প্রতিনিধিদলকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং, সেই স্বপ্ন পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ দেশের জ্বালানি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে চায় মার্কিন ব্যবসায়ীরা
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর