এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৯টি মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মোট ১৪ হাজার ৫৩টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবনপরিদর্শন করে মোট ১৭৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ৯ হাজার ৫৬৭টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ অর্থাৎ বিভিন্ন স্থানে তিন দিনের বেশি জমা পানি পাওয়া যায়।
পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ফুলের টব, বোতল, পানির মিটার, গ্যারেজ, পানির হাউজ, মাটির পাত্র, ভাঙ্গা মগ, বাড়ির মেঝে, পানির ট্যাংক, প্লাস্টিকের পাত্র, ছাদের ড্রেন, দইয়ের পাত্র, পরিত্যক্ত কমোড, ডাবের খোসা, ভাঙ্গা পাতিল, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান, বেইজমেন্ট ইত্যাদি স্থানের জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়।
গত ৬ জুন থেকে আজ পর্যন্ত ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ৩৯ হাজার ৮৩৭টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৫৩৯ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এবং ২৭ হাজার ৮০৩ টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া এ ৩ দিনে মোট ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এডিস মশার প্রজনন উপযোগী স্থানগুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলমান এ অভিযানের পূর্বেও ১৬ মে থেকে ঈদুল ফিতরের পূর্ব পর্যন্ত ১, ৬, ১২, ১৮ ও ৩২ নম্বর, ৫টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় ৯ হাজার ৪৬৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮৭টিতে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া যায় এবং ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।