তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত, তাদের আট নেতা-কর্মীকে মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার।
বাংলাদেশ ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশনসহ ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজু ভাস্কর্য থেকে বেলা ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করে। তারা সচিবালয়ের কাছে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশি বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে প্রতিবাদকারীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।
এর আগে পুলিশ হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্র ও শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাকের কারাগারে মৃত্যু
লেখক মুশতাকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
পুলিশ হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ২০ জন বিক্ষোভকারী এবং ১৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মশাল মিছিল বের করলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, এতে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অবস্থান নিতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন:লেখক মুশতাকের মৃত্যু: গাজীপুর জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে চারজন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ শনিবার বাদী হয়ে আটক সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন:কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে শাহবাগে বিক্ষোভ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছর লেখক মুশতাককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর পর দেশে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেননা তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে বন্দী ছিলেন।