তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া আতঙ্কিত হওয়ার মতো বিষয় না। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জনগণের সচেতনতাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার।’
বৃহস্পতিবার নগর ভবন অডিটোরিয়ামে ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক' সায়েন্টিফিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
‘ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে যেন আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
মেয়র জানান, ডেঙ্গু জ্বর সাত থেকে ১০ দিনেই সাধারণভাবে ভালো হয়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মাসব্যাপী কর্মসূচির পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
কর্মসূচির মধ্যে ১ থেকে ১৫ জুলাই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলে মশা নিধন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া ও মহল্লায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি মাইকিং করা হবে।
সেই সাথে বাড়ির ছাদ ও ফুলের টবে পানি যেন জমে না থাকে এবং সে ব্যাপারে কী করণীয় তা জানানো হবে। প্রয়োজন হলে রোগীকে কাছাকাছি কোনো চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হবে।
ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানে সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর কনক কান্তি বড়ুয়াসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এছাড়া দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরাও আলোচনায় নানা পরামর্শ দেন।