অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩০৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের কারণে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ৩৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, মশাবাহিত এ রোগে ২০১৯ সালে ১৭৯ জন মারা যান।
এদিকে, রাজধানীতে ১০ মে থেকে মশা নিধন অভিযান শুরু হয়েছে। এরপর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডিএনসিসি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন বাড়ির মালিককে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করেছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গত ১৪ মে দেশের সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলোকে করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য ৩০.৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গত ১১ মে থেকে ফ্রি ডেঙ্গু পরীক্ষা শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, বসন্তের শুরুর দিনগুলোতে এডিস মশার উপস্থিতি খুব বেশি হওয়ায় রাজধানীতে এ বছর ডেঙ্গুর আরও মারাত্মক প্রকোপ হতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল সাম্প্রতিক দুটি জরিপে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে।