দিনের শুরুতে পুঁজিবাজারে ঢাকায় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও চট্টগ্রামে পতনের ধারা বজায় ছিল সকাল থেকেই। তবে দিন শেষে সূচকের পতন দিয়ে শেষ হয়েছে দুই বাজারের লেনদেন।
সারাদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৪ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ৮৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮ কোম্পানির। অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩৯ কোম্পানির ২৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সিটি ইন্স্যুরেন্স সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সারাদিনে ডিএসইতে ৮৮৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৯১১ কোটি টাকা।
৯ দশমিক ২০ শতাংশ দাম বেড়ে ঢাকার বাজারে শীর্ষে আছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ৫ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতোই সূচকের পতন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ৪৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৯ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮১ কোম্পানির, কমেছে ১০৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে ৫০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১০ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে ইস্টার্ন ক্যাবলস এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে হামি ইন্ডাস্ট্রিজ।