ক্ষমতায়নের দিক থেকে ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপ-উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ। আর ২০১৭ সালে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নারী ডিন হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমানে ৩৭ হাজার ১৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে এক হাজার ৯৯২ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে ৬৩৮ জন (৩২ শতাংশ) এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ হাজার ২৮ জন নারী (৩২.৪৯ শতাংশ) রয়েছে।
শুধু ক্ষমতায়ন নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ। একাডেমিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে কখনো মেয়ে শিক্ষার্থীরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে থাকছেন।
কৃতিত্বপূর্ণ ফলের জন্য ২০১৭ সালে ২৮ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ। মর্যাদারকর এ পুরস্কাপ্রাপ্তদের ১৭ জনই ছিলেন নারী।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সাদেকা হালিম ইউএনবিকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য কোনো কোটা পদ্ধতি নেই। তারপরও শুধু মেধা দিয়েই মেয়েরা এখানে ভর্তি হয়েছে।
‘অতীতে মেয়েদের পুরুষের চেয়ে দুর্বল মনে করা হতো। কিন্তু মানুষের চিন্তার জায়গায় পরিবর্তন আসছে। কারণ নারীরা সকল ক্ষেত্রেই তাদের সফলতার প্রমাণ দেখিয়েছে’, যোগ করেন তিনি।
নারী হিসেবে কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক হালিম বলেন, ‘কিন্তু আমি সব সময় এটাকে চ্যালেঞ্চ হিসেবে নিয়েছি এবং আমার কাজের মাধ্যমে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছি।’

এদিকে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ শুধু বিভিন্ন একাডেমিক বিষয়েই সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে যুক্ত হয়েও তারা রাখছেন দীপ্ত পদচারণ।
প্রায় ২৮ বছর পর ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ২৮ জন নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হয়েছেন।
ডাকসুর কমন রুম ও ক্যাফেটারিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনিত প্যানেল প্রার্থী বিএম লিপি আক্তার বলেন, সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত না।
ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য কোনো ছাত্র সংগঠন নারীদের পর্যাপ্ত পদে প্রার্থী করেনি বলে দাবি করেন তিনি।