নির্বাচন কমিশন শনিবার এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ দেয়ায় যে ব্যাপক সমালোচনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আন্দোলন দেখা দেয় তার জেরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বিকাল ৪টায় রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শিক্ষামন্ত্রীর (ডা. দীপু মনি) সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে কোনো সমস্যা হবে না। তাই আমরা এ (নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার) সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি জানান, এখন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং সরস্বতী পূজা একই দিন ৩০ জানুয়ারি পড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশের বিভিন্ন সংগঠন নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। এমনকি প্রধান মেয়র প্রার্থীরাও ইসিকে নির্বাচনের নতুন তারিখ দেয়ার আহ্বান জানান, যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা নির্বিঘ্নে সরস্বতী পূজা উদযাপন করতে পারেন।
নির্বাচন পেছানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার আমরণ অনশনে বসেন ঢাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাঁচজন শনিবার অনশনের তৃতীয় দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার আগে শুক্রবার অসুস্থ হয়ে যান ১০ শিক্ষার্থী।
তবে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার পরই শনিবার রাতে অনশন ভঙ্গ করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের জুস ও পানি খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি শেষ পর্যন্ত সুমতি হওয়ায় ইসিকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত হুমকি দিয়েছিলেন যে তারা ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন হলে তা প্রতিহত করবেন।
গত ২২ ডিসেম্বর ইসি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল।