মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নেতাদের সাথে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) নিয়ে আলোচনা সভায় একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশেষ পরিকল্পনার জন্য একমত হয়েছি। আমরা একটি ডাটা ব্যাংক করব, তাহলে আমাদের জন্য কাজগুলো সহজ হবে। কিভাবে কাকে যুক্ত করতে পারি সেটি নিয়ে সবার সাথে কথা বলব এবং একটি সম্মিলিত বডি তৈরি করব।’
ঢাকা শহরের হাতিরঝিল থেকে বানানী এবং ইউনাইটেড পর্যন্ত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর জন্য দুইটি প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একনেকে এটি পাশ হলে দুইপাশে ওয়াকওয়ে করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালুর জন্য কাজ করব। আমরা ধানমন্ডি লেক নিয়েও কাজ করছি। আরও অনেক লেক নিয়ে কাজ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, নগর স্থপতি এবং নগর পরিকল্পনাবিদের মতামত নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগে গৃহীত এই বিশেষ পরিকল্পনা ও ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংক ড্যাপের গাইড লাইন হিসেবে কাজ করবে। খণ্ড খণ্ডভাবে আলোচনা করে ‘ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট’ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। এরপর নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, নগর স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত প্রয়োজন। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এটি সম্পন্ন করা অনেক কঠিন। তাই সবাইকে নিয়েই আমরা ঢাকাকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়তে চাই।
মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরে যেসকল খাল রয়েছে সেগুলোকে পরিকল্পিতভাবে হাতিরঝিলের সাথে সংযোগ তৈরি করে যদি ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট এবং দুই পাশে ওয়াকওয়ে চালু করা যায় তাহলে এই নগরী অপরূপ দৃশ্য ধারণ করবে। বিনোদনের জন্য আর বিদেশ যেতে হবে না। এ লক্ষ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানান তিনি।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) আরও শক্তিশালী করতে হবে বলেও উল্লেখ করে ড্যাপের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের আবাসিক এলাকা সবগুলো খারাপ আছে সেটি বলা যাবে না। সামনে যে বাড়িগুলো হবে সেগুলোর সাথে সামঞ্জ্যস্যপূর্ণ রাস্তা লাগবে। যে পরিমাণ রাস্তা আছে সে অনুযায়ী বাড়ি হতে হবে। কারণ ৩০টা বাড়ি হলে সে পরিমাণ রাস্তা থাকতে হবে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ রাস্তা না থাকলে মানুষকে তো ঘরে বসে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জন্য আবাসন যেমন লাগে তেমনি যাতায়াতের রাস্তা লাগে। এটার জন্য কি পরিমাণ বিল্ডিং আছে, সেখানে আরও বেশি মানুষের আবাসন করা যায় কিনা সেটি সবার মাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি জালাল আহমেদ, সাবেক সভাপতি ড. আবু সাঈদসহ সভাপতি এহসান খান, ফেলো ইকবাল হাবিব, কাজী গোলাম নাসির, ড. ফরিদা নিলুফার, রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আজহারুল ইসলাম এবং অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।