বর্ষার মৌসুম শুরু হওয়ায় রাজধানীতে নির্মল বাতাস বইছে। ঢাকার বাতাসের মান এখন 'অস্বাস্থ্যকর' থেকে 'মধ্যম' বিভাগে উন্নত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টা ০৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫৩ রেকর্ড করা হয়েছে। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ১৩তম স্থানে রয়েছে।
ভারতের দিল্লি ও চিলির সান্তিয়াগো ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে একিউআই ১৭৯, ১৫৭ ও ১৪৪ স্কোর নিয়ে প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'স্বাভাবিক' বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: বাতাসের মান: দূষিত শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে ঢাকা
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।