ঢাকার ১৯টি খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ‘ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপিং’ বা দেশের পাহাড় ও টিলাসহ প্রাকৃতিক সম্পদের মানচিত্র প্রণয়ন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় উপদেষ্টা এ কথা জানান।
‘আমরা ঢাকার খালগুলো উদ্ধারের পরিকল্পনাতে ১৯টি খালকে বেছে নিয়ে প্রায় ১৯টির কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছি বাজেটসহ। এটা হয়তো এ মাসের শেষের দিকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব,’ বলেন রিজওয়ানা।
আরও পড়ুন: তিন সংকট মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চান পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘দুটি কমিটি কাজ করছে, ঢাকার চারপাশের চারটি নদীকে দখল-দূষণমুক্ত করতে কি কি কাজ বাকি আছে, সেটা নিয়ে।’
‘দখল অনেকটাই মুক্ত হয়েছে, দূষণমুক্তি করতে আমরা কি কি কাজ করতে পারি, ফেব্রুয়ারির আগে এই রিপোর্ট চূড়ান্ত হবে না। জিপিএস দিয়ে আমাদের প্রত্যেকটি পয়েন্ট দেখতে হচ্ছে, শিল্প-কারখানা শনাক্তকরণ করতে হচ্ছে। পুরো শহরের স্যুয়ারেজ গিয়ে পড়ছে নদীগুলোতে।’
প্রত্যেক জেলা প্রশাসক (জেলা) তার জেলায় একটি করে নদী দখল এবং দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা বাজেটসহ পাঠিয়েছেন জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সেটা থেকে আটটি বিভাগীয় শহর এবং কক্সবাজার- এই ৯টি ধরে একটি কমিটি যাচাই-বাছাই করে কর্মপরিকল্পনা ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত করবে। এরপর আমরা অর্থসংস্থান করে কাজে নামতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার খালগুলো ব্যাপারে আমরা দ্রুতই কাজে নামতে পারব। বাকিগুলোর ব্যাপারে আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর যে দেশেই খোঁজ নেন না কেন নদী দূষণমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে শেষ হতে দেশ ভেদে ৫ থেকে ১০ বছর লেগেছে। কাজটা যাতে চলমান থাকে সেভাবেই একটা অ্যাকশন প্ল্যান আমরা করে দিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, আশা করি আমরা কাজটি শুরু করে যাওয়ার সময় পাবো।
অনেক জায়গায় প্রকল্প বাতিল করে বনের জায়গা ফিরিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাজার তিনেক একর বন ফেরত এনেছি, রেকর্ড সংশোধন হচ্ছে। নতুন করে কাউকে কোন স্থাপনার জন্য বন ও পাহাড়ের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না।’