চিকিৎসকদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞান ও নতুন ধারণা বিনিময়ের লক্ষ্যে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপো ২০২৩’ শুরু হচ্ছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ছয় দেশের ৩০টির বেশি দেশি-বিদেশি হাসপাতাল ও হেলথকেয়ার পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এই মেলা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপোর আয়োজক মুরাদ হোসাইন।
এসময় তিনি বলেন, আগামী ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে বৃহত্তর পরিসরে ভিন্নধর্মী এক ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপো শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশসহ ভারত, ইরান, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া মোট ছয় দেশের তিরিশোধিক দেশি-বিদেশি হাসপাতাল ও হেলথকেয়ার পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তিন দিনব্যাপী এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবে।
মুরাদ হোসাইন বলেন, এটি কোনো গতানুগতিক হেলথ কেয়ার মেলা নয় বরং এই এক্সপোতে অগ্রগামী বিদেশি হেলথকেয়ার সেক্টরের সঙ্গে এদেশের হেলথ কেয়ার সেক্টরের উম্মোচিত হবে পারষ্পরিক সহযোগীতা, সংযোগ ও বন্ধনের এক নতুন দিগন্ত।
আরও পড়ুন: এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে ওয়ার্ল্ড হেলথ সার্ভে প্লাস
তিনি বলেন, তিন দিনের এই যুগান্তুকরী এক্সপোতে অনুষ্ঠিত হবে অন্তত ১০টি স্বাস্থ্য বিষয়ক ইন্টার্যাক্টিভ ওয়ার্কশপ, প্যানেল ডিস্কাশন। এতে অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন স্পেশালিটির দেশি- বিদেশি প্রথিতযশা চিকিৎসক, চিকিৎসা বিজ্ঞানী, গবেষকেরা।
তিনি আরও বলেন, দেশের চিকিৎসা খাতে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্যাতনামা চিকিৎসকদেরকে সম্মাননা ও রিওয়ার্ড দেওয়া হবে।
হেলথ এক্সপোর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে হেলথ এক্সপোর অন্যতম আয়োজক ও এমপ্যাথি সলিউশনের (ইন্ডিয়া) ডিরেক্টর দালিপ কুমার চোপড়া বলেন, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে নেতৃস্থানীয় হাসপাতাল, ওয়েলনেস সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ফার্মাসিউটিক্যালস ও তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, পণ্য প্রদর্শিত হবে। এর পাশাপাশি টেলিমেডিসিনে অগ্রগামী হেলথ সেক্টরের বৈপ্লবিক অগ্রগতিও অংশগ্রহণকারী ও ভিজিটররা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন, সেইসাথে সুযোগ থাকবে নিজেদের পেশাগত দক্ষতা তুলে ধরার একই সঙ্গে নিজেদের অধিকতর সমৃদ্ধ করার।
তিনি বলেন, আমরা চাই এক্সপোর মাধ্যমে একে অন্যের সঙ্গে অবারিত মত বিনিময়ের, নলেজ শেয়ারিং, নলেজ এক্সচেঞ্জ, টেকনোলজি ট্রান্সফার, এমনকি বেস্ট প্রাক্টিস এক্সচেঞ্জেরও সুযোগ থাকবে। মোটকথা দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো টেকসই ও আরও মজবুতের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবায় গ্লোবাল লেটেস্ট ইনোভেশনের সঙ্গে আমাদের হেলথ সেক্টরের সম্মিলন ও উন্নয়নের মতো অতি উচ্চাকাঙ্খী পথে এগোনোর এই এক্সপো একটি প্রথম পদক্ষেপ।
এক্সপোর আন্তর্জাতিক সহায়তাকারী হিসেবে রয়েছেন, ফাউন্ডেশন অব হেলথকেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস প্রমোশন, হেলথ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সেন্টার অফ ইসলামিক কান্ট্রিজ, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং সার্ভিস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: চবির সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সঙ্গে এভারকেয়ার ও এপিক হেলথ কেয়ারের চুক্তি