আহতরা হলেন- সহকারী কাস্টমস কর্মকর্তা তুহিন চৌধুরী ও মোস্তাফিজ, গাড়ি চালক রাকিব উদ্দিন, বিশ্বজিৎ ও সজল কান্তি।
বিজিবি ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাঝে বৃহস্পতিবার বিকালে থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও কাস্টমস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের তিন ভারতীয় শিক্ষার্থী তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এসময় তামাবিল জিরো পয়েন্টে বিজিবি চেকপোস্টে দায়িত্বরত সদস্যরা তাদের তল্লাশি করতে যান।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বিজিবি সদস্যদের বাঁধা দিয়ে বলেন, ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের
ব্যাগ শুধু কাস্টমস কর্তৃপক্ষই তল্লাশি করবে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা জোরপূর্বক ভারতীয় যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করে তিন বোতল মদ পান, যা নিয়ে বিজিবি ও কাস্টমসের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
সৃষ্ট বিরোধের জেরে সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে সহকারী কাস্টমস কর্মকর্তা তুহিন ও মুস্তাফিজকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা শিপন কুমার দাস বলেন, নিয়ম না থাকলেও বিজিবির সদস্যরা জোরপূর্বক কয়েকজন যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করতে যায়। এতে কাস্টমসের লোকজন বিজিবিকে বাধা দিলে তারা হামলা চালায়। সন্ধ্যার পর পুনরায় হামলা চালিয়ে কাস্টমসের দুজন সহকারী কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে আহত করে।
তবে বিজিবি তামাবিল ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুর রহিম কোনো ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল, পরে তা শেষ হয়ে গেছে।
পাঁচজন আহত হওয়ার বিষয়টি কাস্টমস কর্মকর্তাদের ‘সাজানো নাটক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।