জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আরও কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকবে। বুধবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, চলতি বছর জেলায় ৫ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয় ৫ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে। এছাড়া ৫ হাজার ৬৮৮ হেক্টর জমিতে আলুর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ৬ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। টানা শীতের কারণে কিছু কিছু এলাকায় বোরো ও আলু খেতের ক্ষতি হলেও দিনে রোদের কারণে কিছুটা ক্ষতিটা পুষিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকার জানান, শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সাহা জানান, শীতকে মোকাবিলা করার জন্য ইতিমধ্যে ৬৩ হাজার ১৪ পিস কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য ৩ লাখ টাকার শীতের পোষাক কেনা হয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা ও কম্বল কেনার জন্য ১০ লাখ টাকার সহায়তা পাওয়া গেছে। মজুদ আছে ২ হাজার শুকনো খাবার। পর্যায়ক্রমে এগুলো বিতরণ করা হবে।