বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবকালে তিনি বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হওয়ায় সরকার তৈরি পোশাক শিল্পে (আরএমজি) নগদ প্রণোদনাসহ সকল ধরনের সুবিধা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে আরএমজি রপ্তানি খাতের সকল বিভাগে অতিরিক্ত ১ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে, বাণিজ্য নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার কারণে ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী পণ্য বাণিজ্যের মন্দার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এজন্য আরএমজিসহ বাংলাদেশ থেকে সামগ্রিক রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন: যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বৈশ্বিক লকডাউনের কারণে আগামী দিনগুলোতে রপ্তনি আরও হ্রাস পাবে।
তবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার জন্য সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজের প্রস্তাব দিয়েছে তাতে আরএমজি শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন: বাড়ছে করমুক্ত আয়সীমা, আয় ৩ লাখ টাকার নীচে হলে কর নয়
জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে বাজেট তুলে ধরা শুরু করেন। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের এটি দ্বিতীয় বাজেট।
এর আগে আজ মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।