তিনি বলেন, ‘কৃষিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম যুগোপযোগী, আধুনিক ও প্রায়োগিক করতে হবে।’
শনিবার সরকারি বাসভবন থেকে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘দক্ষ কৃষি গ্রাজুয়েট তৈরিতে আধুনিক কারিকুলামের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিকে অধিকতর লাভজনক করতে হলে কৃষি পণ্যের বিপণন ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে দেশে বিদেশে কৃষি পণ্যের টেকসই বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। প্রক্রিয়াজাত করে মূল্য সংযোজন করতে হবে।
‘সেজন্য, উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিলেবাস ও কারিকুলাম যুগোপযোগী করা প্রয়োজন,’ যোগ করেন তিনি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি কলেজ এবং কৃষিবিদরা বাংলাদেশের সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কৃষিতে আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যোগানো। কারণ, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা খুব প্রয়োজন।’
এসময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘কৃষির ইতিহাস ও গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোকে কারিকুলামে নিয়ে আসতে হবে। কৃষির উন্নয়ন করতে হলে এর বিবর্তন সম্পর্কে জানা জরুরি। এর সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কৃষক ও কৃষি গ্র্যাজুয়েটরা কি করে সফলভাবে মোকাবিলা করবে তাও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।’
সাবেক শিক্ষাসচিব এন আই খান বলেন, ‘শুধু কারিকুলাম পরিবর্তন করলেই হবে না, শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘কৃষিকে কীভাবে নিরাপদ ও পরিবেশ সম্মতভাবে টেকসই করা যায় তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কারিকুলামে প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর বিশেষ করে ইন্টার্নশিপের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে।’
কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘কৃষি দ্রুত বাণিজ্যিকায়নের দিকে যাচ্ছে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলকে এসব জায়গায় সম্পৃক্ত না করতে পারলে, এগুলো বিদেশি বিশেষজ্ঞদের হাতে চলে যাবে।’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান বলেন, ‘সিলেবাসে প্রতিনিয়তই নতুন বিষয় সংযোজন করা হচ্ছে, তবু কিছুটা দুর্বলতা আছে। সময়ের সাথে সাথে অবশ্যই এটিকে পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করতে হবে।’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্প ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞরাও অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ার জন্য সিলেবাস, কারিকুলাম, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তন করে আধুনিক ও প্রায়োগিক করার ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন।