তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার নানা কারণ রয়েছে। মহাসড়কের নির্মাণ তথা প্রকৌশলজনিত ত্রুটি দূর করতে প্রকৌশলীরা সচেষ্ট রয়েছেন। এর পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ৫ম বিশ্ব নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষ্যে মহাসড়কের সংযোগস্থলসমূহে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় সচিব জানান, বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা হবে।
সড়ক নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার মাঝে কার্যকর সমন্বয় তৈরি এবং নিরাপদ সড়ক গড়তে সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ সকল স্তরের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন কর্মশালায় উপস্থিত বক্তারা।
তারা বলেন, ‘মহাসড়কের সংযোগস্থলসমূহকে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সার্বক্ষণিক নজরদারির পাশাপাশি সড়কের নির্মাণজনিত ত্রুটি দূর করতে হবে। এছাড়া নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। মহাসড়কের পাশের অস্থায়ী হাটবাজার সরানো জরুরি। এর পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিকবিধি সংযোজন করতে হবে।’
ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার ও যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধে আরও কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যাপারে গুরুত্ব দেন বক্তারা।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসানের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তব্য দেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারপার্সন ইলিয়াস কাঞ্চন, বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন, প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াহিদ ও প্রকৌশলী ফজলুল করিম।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক প্রকৌশলীসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা।
কর্মশালায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ৬৯৩টি সড়ক সংযোগস্থল বা ইন্টারসেকশনের ওপর এক সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর বিশেষজ্ঞরা আলোচনা শেষে সুপারিশমালা চূড়ান্ত করেন।