শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আইন মতে আমাদের দেশে যারা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক হন তারা কেউ বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারেন না।’
‘যারা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক হবেন তাদের অবশ্যই অ-বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভিন্ন মিশন তাদের কর্মচারী বাংলাদেশি নাগরিকদের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে। এটা আইনের লঙ্ঘন। প্রত্যেক দেশেই এ নিয়ম রয়েছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি ঢাকার বিদেশি দূতাবাসগুলোকে দায়িত্বশীল হওয়ার এবং আচরণবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
ইতোমধ্যে যেসব বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হয়েছেন তা বাতিল করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। তবে মিশনগুলোকে দায়িত্ব নেয়া উচিত। তারা যেহেতু আইন জানে, সুতরাং তাদের উচিত যেসব বাংলাদেশি কর্মচারীদের তারা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বানিয়েছে তাদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যেতে না দেয়া।’
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিদেশি নাগরিক হতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিশনগুলো তাদের বিদেশি নাগরিক এনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বানাক, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের দেশীয় পর্যবেক্ষক হতে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিশনগুলো যেকোনো লোক, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ করতে পারে। কিন্তু তারা আমাদের আইন লঙ্ঘন করতে পারে না। এটাই আমরা বলেছি। তাদের উচিত দায়িত্বশীল হওয়া।’
শনিবার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষক হিসেবে শহরের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন।