শনিবার রাজধানীর আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এইচ খান মিলনায়তনে ‘খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ স্বর্ণপদক-২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ আহ্বান জানান।
ঢাকা আহসানিয়া মিশন এ বছর বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে স্বর্ণপদকে ভূষিত করেছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ব্যারিস্টার রফিক-উল হকসহ দেশের জ্ঞানতাপস ও বর্ণাঢ্য আইনজ্ঞদের কাছে নিবেদন করব, তারা যেন প্রতিবেশী দেশের আদলে অন্তত একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা আইন শিক্ষার গুণগত মান ও গবেষণার ভিত্তিকে আরো সমৃদ্ধ করবে।’
ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারি যে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষা, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অপরিসীম। জাতির ক্রান্তিলগ্নেও তিনি অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছেন।’
‘তিনি নিজের উপার্জিত অর্থের অধিকাংশ ব্যয় করেছেন সমাজ সেবায় এবং প্রতিষ্ঠা করেছেন হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, এতিমখানা ও মসজিদ। বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, নূরজাহান ওয়ার্ড, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল এবং আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার অনন্য ভূমিকা রয়েছে,’ যোগ করেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন। সেই সাথে আহসানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম ক্রেস্ট ও দুই লাখ টাকার চেক ও বই তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মিশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম খলিলুর রহমান, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কাজী শরিফুল আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বক্তব্য দেন।