দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে হালকা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস: বিএমডি
আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারা দেশে আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন দরিদ্র মানুষেরা। এছাড়া শীতজনিত নানা সমস্যায় ভুগে থাকে প্রবীণ এবং শিশুরাও।
শীতের এই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা কঠিন হতে পারে কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বেশি ছড়ায় বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
তাদের আশংকা, আদ্রতা কম থাকা, সূর্যের আলোর স্বল্পতা, ভিটামিন ডি এর অভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রতিবন্ধকতাজনিত কারণে শীতকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যাসহ অন্যান্য ফ্লু জাতীয় রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়তে পারে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীর ইউএনবিকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ ছাড়াও বাংলাদেশের জনগণ অন্য চারটি করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ সর্দিজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে সেগুলো স্ব-প্রতিরোধক ভাইরাস। কিন্তু শীতের এই সময়ে যদি মানুষ কোভিড-১৯ এবং অন্য করোনাভাইরাসে একসাথে আক্রান্ত হয়, তাহলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে পারে।’
তাপমাত্রা বাংলাদেশে করোনার বিস্তারকে ধীর করে দিতে পারে: সিকৃবি
‘যদিও এটি কেবলমাত্র অনুমান, তবে আমাদের উচিত সতর্ক থাকা,’ বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রবিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২8 জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৪৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।
১৬ দিন ধরে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বিপর্যস্ত মানুষ
এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৯ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ জনে।