তাপমাত্রা
আগামী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশে শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরের ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায় ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একই সময়ে নওগাঁর বদলগাছীতে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
সারাদেশে শুষ্ক থাকতে পারে আবহাওয়া : বিএমডি
ব্রাজিলের আমাজনে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু
পানির তাপমাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেস্টে গত সপ্তাহে ১০০ টিরও বেশি ডলফিন মারা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, পানির তাপমাত্রা এই পর্যায়ে থাকলে শিগগিরই আরও অনেক ডলফিন মারা যেতে পারে।
ব্রাজিলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা দল মামিরুয়া ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তেফে হ্রদের আশেপাশের অঞ্চলে সোমবার আরও দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের স্পিনার ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
ইনস্টিটিউটের দেওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শকুনেরা সৈকতে ডলফিনের মৃতদেহ তুলে নিচ্ছে। হাজার হাজার মাছও মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হ্রদগুলোর পানির উচ্চ তাপমাত্রা এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি প্রাণির মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ।
গত সপ্তাহ থেকে টেফে লেক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) অতিক্রম করেছে।
ব্রাজিল সরকারের চিকো মেন্ডেস ইনস্টিটিউট ফর বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন গত সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা পশুচিকিত্সক ও জলজ স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে।
মামিরাউয়া ইন্সটিটিউটের গবেষক মরিয়ম মারমন্টেল বলেন, টেফে লেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ডলফিন ছিল।
মারমন্টেল বলেন, ইতোমধ্যে এক সপ্তাহে আমরা ১২০টি প্রাণী হারিয়েছি, যা মোট সংখ্যার ৫-১০ শতাংশ।
খরার কারণে শুক্রবার আমাজোনাসের গভর্নর উইলসন লিমা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
নিকসন মারেইরা ৬০ হাজার বাসিন্দার শহর টেফের মেয়র।
তিনি বলেন, নদীশুষ্ক হওয়ায় তার সরকার কিছু বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে সরাসরি খাদ্য সরবরাহ করতে পারছে না।
মামিরুয়া ইনস্টিটিউটের জিওস্প্যাটিয়াল কোঅর্ডিনেটর আয়ান ফ্লিশম্যান বলেন, আমাজন অঞ্চলের নদীতীরবর্তী জনগোষ্ঠীর ওপর খরার বড় প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, ভালো মানের পানি পাচ্ছে না, নদীতে নৌকা চালাতে পারছে না। অথচ তাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নদী।
ফ্লিশম্যান বলেন, পানির তাপমাত্রা শুক্রবার ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৯ ফারেনহাইট) থেকে বেড়ে রবিবার প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ফারেনহাইট) হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা এখনও ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছেন। তবে পানির উচ্চ তাপমাত্রা প্রধান কারণ বলেই তাদের সন্দেহ।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
বরগুনায় সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুসারে, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিন রংপুর ও রাজশাহীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়- রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৬১ মিলিলিটার রেকর্ড করেছে নীলফামারীর ডিমলায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সকল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আল্পাইনে হিমবাহের তাপমাত্রা শূন্যের উপরে: সিএনআর
ইতালির ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল (সিএনআর) স্থানীয় সময় রবিবার (২০ আগস্ট) জানিয়েছে, জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে সৃষ্ট চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে ইতালির সমগ্র আল্পাইন হিমবাহের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির উপরে রয়েছে।
সিএনআর ও লামা কনসোর্টিয়ামের গবেষক ও আবহাওয়াবিদ ক্লাউদিও টেই বলেছেন, ‘সমস্ত আল্পাইন হিমবাহের চূড়ার তাপমাত্রা শূন্যের উপরে রয়েছে এবং এই পরিস্থিতি বেশ সংকটজনক।’
তিনি বলেন, মধ্য ও উত্তর ইতালির তাপপ্রবাহের কারণে, আফ্রিকা থেকে একটি সাব-ট্রপিক্যাল অ্যান্টিসাইক্লোন আসছে।
টেই আরও বলেন, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী উষ্ণতম দিনগুলো হলো সোমবার (২১ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (২২ আগস্ট)। দিনগুলোতে কিছু শহরে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠবে, যা এই মৌসুমের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৭ ডিগ্রির বেশি। এমনকি পশ্চিম আল্পসে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি থাকবে।’
তিনি বলেন, পাঁচ হাজার মিটারের উপর উচ্চতায় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইতালিতে সমুদ্রপথে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি
ইতালির মিলানে বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৬
ইতালির প্রাণঘাতী বন্যা জলবায়ু বিপর্যয়ের সর্বশেষ চরমতম উদাহরণ
রংপুর ও সিলেট বিভাগসহ ২ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের কিছু অংশে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
অধিদপ্তর শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, রংপুর ও সিলেট বিভাগসহ পাবনা ও বগুড়া জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃষ্টির পূর্বাভাসে বলা হয়- রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পাশাপাশি, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টা হতে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের ৩ জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে
চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। বৃষ্টির না হওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে খাল, বিল, পুকুর। ফলে বাড়ছে পানির তাপমাত্রা। এই তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মাছচাষিরা।
কই, জিয়লসহ সব ধরনের মাছের রেণু, পোনা মরে যাওয়ার কারণে মাছচাষিদের মধ্যে আহাজারি শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে মাছ চাষ ব্যাহত হবে। মাছের সংকট দেখা দেবে।
মাছের আড়তের পাইকারি বিক্রেতারাও হতাশ। কারণ পর্যাপ্ত মাছ তারা আমদানি করতে পারছেন না। আবার যাও পারছেন, সেই মাছ অধিকাংশ গরমে স্ট্রোক করে মরা। এই অবস্থার জন্য তীব্র লোডশেডিংকে দায়ি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এঅবস্থায় পুকুরে কচুরিপানা দিয়ে পানি ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপমাত্রা থাকছে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর মাছ চাষের জন্য ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি আদর্শ তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন পুকুরে গেলে দেখা যায়, মাছ চাষিরা তাদের মাছ বাঁচানোর পানি সেচসহ নানাভাবে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তারপরও অতিরিক্ত তাপে মরে যাচ্ছে মাছ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ১০০ দিন ও বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ
আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের হালদারপাড়ার মদন হালদার জানান, এই দুই দিনে গরমের কারণে আমাদের প্রায় ৩শ’ মণ মাছ মরে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবার গরমেই এই দুইদিনেই আমাদের ১৫-২০ লাখ টাকা লস।
জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফুলবগাদী গ্রামের জব্বার আলী ফেরি করে গ্রামে গ্রামে মাছ বিক্রি করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার সব থেকে বড় পাইকারি মাছের বাজার শহরের মাছপট্টিতে মাছ পাইকারি দরে কিনতে এসেছেন।
জব্বার আলী বলেন, ‘মাছ মইরে যাইছে, মাছ পাওয়া যাইছে না। গরমে পুকুরের পানির অবস্থা ভালো না, পানি নেই। আবার দাম বেশি।’
আমিরুল নামের একজনের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা মাছপট্টিতে কথা হয়।
তিনি বলেন, ‘পানি নেই, পানি হলি মাছের দাম কম হবে। এতি করে চাষিরাও বাচবে, যারা ফোড়ে তারাও বাঁচবে। মিয়ারাও বাঁচবে। তাড়াতাড়ি পানি হোক।’
মাছচাষি মো. আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমার দুইটি পুকুর রয়েছে। একটা এক বিঘার। আরেকটা ৭ বিঘার খননের কাজ চলছে। কিন্তু এ বছর পুকুরের মাছগুলো বাচিঁয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। স্যালোমেশিন দিয়ে পুকুরে পানি দিচ্ছি। যে পাওয়ার পাম্প মেশিন কিনেছি, তাতে ঠিকঠাক পানি উঠছে না। গরমে মাছ ছটফট করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবগুলো পুকুরের পানিই তলানিতে নেমেছে। প্রচণ্ড গরমে মাছের রোগ দেখা দিচ্ছে। আমরা চুনসহ শ্যালো চালিয়ে পুকুরে পানির উচ্চতা বাড়াচ্ছি। সময় না হলেও কিছু মাছ তুলে বিক্রিও করে দিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় প্রায় ১১ হাজারের বেশি পুকুর রয়েছে। যার জলকরের আয়তন প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর জমি। আর পুরো জেলায় ৬৫ হাজার হেক্টরের বেশি জলকর রয়েছে।
এছাড়া এ জেলায় ১২ নদী ও ১০টি হাওড় আছে। যেখানে চাষ ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবেই মাছ পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বার্ষিক উৎপাদন ২৩ হাজার ৭৪১ মেট্রিক টন লক্ষ মাত্রা রয়েছে।
তবে এবার গরমের কারণে উৎপাদন কম হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে লক্ষযমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে মিলল সাকার মাছ
পাবনায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড!
পাবনার ঈশ্বরদীতে সোমবার দেশের ও চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিল দেশের সর্বেোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনার ঈশ্বরদীর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
তিনি জানান, পাকিস্তান আমলে পাবনার ঈশ্বরদীতে আবহাওয়া অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করার ইতিহাস নেই।
তিনি বলেন, গত বছরের ১৫ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে হয়তো আজকের ঈশ্বরদীর তাপমাত্রাই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকেই অতি তীব্র তাপদাহ বইছে পাবনাজুড়ে। বাতাসে যেন আগুনের হলকা বের হচ্ছে। তীব্র গরমে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার মধ্যেও বিশ্বের পঞ্চম দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা
তাপপ্রবাহ জনজীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে সোমবার সকাল ৯টা ৪০ টায় কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান পঞ্চম।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু এবং থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই যথাক্রমে ২২৮, ১৯৮ এবং ১৬৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।, এবং আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: আগামী ৩ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করল ঢাকাবাসী
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।এছাড়া মাঝারি দাবদাহ থেকে আজ এটা তীব্র তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে।
এই টানা তাপদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র গরমে আর আগুন ঝরা আবহাওয়ায় সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমেছে। পশুপাখীর অবস্থাও করুণ।
অন্যদিকে, নজিরবিহীন গরমে রোজাদারদের অবস্থাও কাহিল।
প্রখর রোদের কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। তীব্র গরমে বয়স্ক ও শিশুরা সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থতার পরিমাণও বাড়ছে। জেলা সদরের হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীর সংখ্যা।
জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না।
দিনমজুর রবিউল মিয়া বলেন, এতো তাপদাহ সহ্য করা কঠিন। জমিতে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারলাম না। এখন এই ছায়ায় বসে আছি। আজ কাজ শেষ করতে দেরি হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ফল বিক্রেতা ইয়ার আলী বলেন, কোনো বিক্রি নেই। গাছের নিচে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছি। এভাবে চললে সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়। যা ছিলো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একটানা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৪ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৭ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১১ এপ্রিল অর্থাৎ গত মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওবং গতকাল ১২ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ ১৩ এপ্রিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দুপুরে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ ১৩ এপ্রিল দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এই মৌসুমের ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, গত ২ এপ্রিল থেকে আজ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হলো। আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আর আজ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চে গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এপ্রিলে তাপমাত্রা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন দুর্বিষহ
আগামী ৭ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ধুকছে খুলনা
প্রচন্ড তাপপ্রবাহে ধুকছে খুলনা অঞ্চল। গত ১২ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে খুলনা বিভাগে। আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই অঞ্চলেই। আর এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে আরও চার থেকে পাঁচদিন। এ সময়ে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আর এরপরই সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টির। এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এদিকে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। এ অবস্থায় জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অসহ্য গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জীব-বৈচিত্র্য অস্থির হয়ে উঠেছে। রোদের উত্তাপে বাইরে বের হলেই চোখ যেন পুড়ে যাচ্ছে। ছুটে চলা কর্মব্যস্ত নগরবাসী, পথচারী, বিভিন্ন গাড়ির চালকেরা, পেশাজীবী, নিম্ন আয়ের দিনমজুর, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। অনেক পোষ্য প্রাণী গরম সইতে না পেরে আশপাশের ড্রেন বা জলাশয়ে নেমে পড়েছে। স্থানীয় এলাকার ছোট ছোট বাচ্চারা পানিতে ঝাপ দিচ্ছে শরীরকে শীতল করতে। তীব্র গরমের কারণে নগরীর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত বাসা-বাড়িতে বিরতিহীনভাবে চলছে এসি, এয়ারকুলার, ফ্যান। সারাদিন রোদের উত্তাপে পড়ে রোজাদারসহ পথচারীরা দেহের তৃষ্ণা মেটাতে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে কিনছেন ঠাণ্ডা আাখের রস, লেবু, বেলের শরবত, ডাবসহ ঠাণ্ডা পানীয়।
খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী সড়কে কাজ করা দিনমজুর খোরশেদ আলম বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। রমজানের শুরুতে গরম কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেক গরম। গরমে সারা শরীর ঘেমে যাচ্ছে। পানি পিপাসা লাগে, শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রোজা রেখে কাজ করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রোদের প্রচণ্ড তাপে বেশি সময় দাঁড়ানো যায় না। তবুও কাজ করতে হয়। এদিকে রাস্তার কাজ চলায় ধুলাবালি উড়ে আসছে। সবমিলিয়ে অস্বস্তি লাগছে।
আরও পড়ুন: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
নগরীর শিববাড়ি পাবলিক হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রিক্সাচালক মকবুল হোসেন বলেন, গরমে অবস্থা খুব খারাপ। রিক্সা চালাতে গিয়ে ঘেমে গোসল দিয়ে উঠছি। রোদের তাপে মাথা যন্ত্রণা করে। ক্লান্ত হয়ে পড়ছি; বেশিক্ষণ রিক্সা চালানো যায় না। বিশেষ করে দুপুরে খুব বেশি গরম লাগে। রোদে পুড়ে যায়। তাই ভাড়া টানার পর ছায়াতে কিছু সময় জিরিয়ে নিতে হয়।
খালিশপুর পার্কের মোড়ের বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ সবুজ বলেন, আজ রোদের তাপ অনেক বেশি। বাইরে বের হলে রোদে গা জ্বলে যাচ্ছে। দিনে-রাতে কয়েকবার গোসল করছি। আর খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। এছাড়া ঘরে ফ্যান চালিয়ে রাখতে হচ্ছে সারাক্ষণ।
ব্যবসায়ী হামিম জানান, গরমে কোথাও শান্তি মিলছে না। বেজায় গরমে বাইরে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে। কি আর করার ব্যবসার কাজে তো বাইরে যেতেই হবে। তবে বাইরে গেলে রোদে মনে হচ্ছে গায়ে কে যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কেউ, এমনই গরম।
সিএনজি চালক মিজানুর রহমান জানান, গরমে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব গরম, শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে। শরীরে দরদর করে ঘাম ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই কি করব গাড়ি তো চালাতেই তবে। কারণ প্রতিদিনের সংসার খরচ, আর আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে ঘিরে পরিবারের জন্য কেনাকাটার জন্য গরম আর গায়ে গরম মনে হচ্ছে না।
আখের রস বিক্রেতা সুমন জানান, প্রায় সব সময়ই আখের শরবত বিক্রি করি। তবে কয়েকদিন ধরে যে অসহনীয় গরম পড়ছে তাতে আখের রসের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া মিলছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনায় আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায়। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজকেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া যশোরে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মোংলায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুষ্টিয়ায় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, তাপমাত্রা আরও চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকবে। কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী ১৭ এপ্রিলের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দু-এক জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) সূত্রে জানা যায়, ১১ দিনের ব্যবধানে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। গত ৩১ মার্চ পিক আওয়ারে ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের বিদ্যুৎতের চাহিদা ছিল এক হাজার ৬১৮ মেগাওয়াট। আর সবশেষ ১১ এপ্রিল বিদ্যুতের চাহিদা ছিল দুই হাজার ২৯৮ মেগাওয়াট। ১১ দিনের ব্যবধানে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ৬৮০ মেগাওয়াট।
ওজোপাডিকোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম বলেন, মার্চের চেয়ে এপ্রিলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। তবে চাহিদা বাড়লেও আমাদের সরবরাহ ঠিক আছে। বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছে খুলনা অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর