তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরও কমেছে
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। দেশের নিম্নাঞ্চলে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।
ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। উত্তরের হিমেল হাওয়া কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল ৮ টার দিকে সূর্য উকি দিলেও তাপমাত্রা বাড়েনি। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।
তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শীতে বিপর্যস্ত মেহেরপুরবাসী, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৫০ রোগী
১ সপ্তাহ আগে
আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।’
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী জেলার বদলগাছীতে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এর সঙ্গে সম্পর্কিত খাত উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত। উপমহাদেশীয় উচ্চ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।
১ সপ্তাহ আগে
শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, ১২ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা
তাপমাত্রা কমায় শীতের তীব্রতা বেড়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের মানুষ। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে ঘন মেঘ থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন জেলার ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি, শীতবস্ত্রের দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়ি চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’
একই ইউনিয়নের ধরলার পাড় এলাকার সাইফুল বলেন, ‘বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেওয়া যায় না, এতো ঠান্ডা। তার পরেও হামারগুলার কাজ ছাড়া উপায় নাই।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
১ সপ্তাহ আগে
কুয়াশায় আচ্ছন্ন নওগাঁ, তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে নওগাঁর পথঘাট। কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে সোমবার বেলা গড়ানোর পরও কুয়াশায় কাটছে না। বৃষ্টির মতো টপ টপ করে ঝরছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস যোগ হওযায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
সদর উপজেলার ঠাংভাঙ্গা মোড়ে এলাকার আফছার আলী বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়েছে। তবে সকাল ৯টা দিকে সূর্য উঠলেও আজকে সূর্যের দেখা নাই। বৃষ্টির মতো ঝির ঝির করে কুয়াশা পড়ছে। শুরুতেই যদি এত ঠান্ডা পড়ে তাহলে সামনের দিনে তো আরও বেশি ঠান্ডা হবে। এমনিতেই ঠান্ডায় কোনো কিছু করা যাচ্ছে না। হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শীতের তাপমাত্রা আগামীতে বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে গরম ভাইয়ের পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আল জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত নওগাঁয় সরকারিভাবে কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা বিতরণের জন্য আজ পর্যন্ত ৪০০টি কম্বল জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এছাড়া তিনি জানান, গত বছর তিন ধাপে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে নওগাঁতে ৭৬ হাজার গরম কাপড় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই।
তিনি এ বছরের জন্য নওগাঁর দুস্থ অসহায় মানুষের শীত নিবারণে এক লাখ গরম কাপড়ের বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান এবং সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
১ সপ্তাহ আগে
ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরও কমায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৭ ডিগ্রি থেকে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পুরো এলাকা।
শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেড-লাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে ক্ষেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। অপর দিকে, শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী ৪০৫টি চর ও দ্বীপ চরের হত দরিদ্র মানুষগুলো।
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহের রুহুল আমিন (৪০)বলেন, ৫ থেকে ৬ দিন ধরে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরেও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।
ওই এলাকার দিনমজুর আবু বক্কর (৫২)বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বের হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
৪ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
কুড়িগ্রামে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ অঞ্চলের শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বিভিন্ন রুটে যানবাহনগুলো বিলম্বে যাতায়াত করছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। পরে দিনের বেলা তাপমাত্রার কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে মধ্যরাত থেকে শীতের তীব্রতা অনুভূত হতে থাকে।
শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি,জ্বর,শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঠের পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘দুইদিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেকটা বাড়ছে। সারারাত বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’
ওই ইউনিয়নের রিকশা চালক রহমত বলেন, ‘সকালে যখন গাড়ি চালাই, তখন কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হয়। এখনি যে কুয়াশা, কয়দিন পরে কি হবে।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বর্তমানে শীতের সঙ্গে ঠান্ডার প্রকোপ কম থাকলেও আগামী সপ্তাহে হিমেল হাওয়া শুরু হতে পারে তখন আরও নিম্নগামী হতে পারে জেলার তাপমাত্রা।’
আরও পড়ুন: কম খরচে শীতকালীন ফসলের জাতভেদে ফলন বাড়ানো সম্ভব: বাকৃবি অধ্যাপক হারুন
৪ সপ্তাহ আগে
সারা দেশে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকাসহ সব বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ‘রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে আরও বলা হয়, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত একটি নিম্নচাপ মৌসুমি অক্ষরেখার সঙ্গে মিশে গেছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশ আবহাওয়া অফিসের
৫ মাস আগে
আবারও তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবুও জীবিকার তাগিদে এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে মানুষকে।
একদিকে তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে বিদ্যুতের লো ভোন্টেজ আর লোডশেডিং। ঘরে-বাইরে কোথাও এক মুহূর্তও মিলছে না স্বস্তি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সকাল থেকেই থাকছে প্রখর রোদের তাপ। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
রোদের তীব্র তাপে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না। দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত চার দিন মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে জেলা। যা অব্যহত থাকতে পারে আরও তিন থেকে চার দিন।
সোমবার (১০ জুন) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতা বাড়ায় এমন তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। যার কারণে প্রচুর পরিমাণে ঝড়ছে শরীরের ঘাম।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার (৭ জুন) থেকে চলতি মাসে মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশকে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা দিচ্ছে ইইউ
ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস
৬ মাস আগে
পরিবেশবান্ধব স্থাপনা তৈরি করতে শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান
বিশ্বব্যাপী যে উষ্ণায়ন হচ্ছে সেটাকে মাথায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো তৈরি করতে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে ইনোভেশন আনতে হবে। ইনোভেশনের জায়গায় আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে যাচ্ছি না। কিছু ইনোভেশন করতে পারলে আমরা খরচ কমাতে পারি।
তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এনে স্থাপনাগুলো করা যেতে পারে। পরিবেশবান্ধব স্থাপনা তৈরি করারও আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে প্রযুক্তির উদ্ভাবক হতে স্নাতকদের প্রতি আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন যেহেতু কারিকুলামে অ্যাক্টিভিটি করতে হয়, সেহেতু বিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ ডিজাইনে কীভাবে পরিবর্তন আনা যায় সেটা ভাবতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে— শিক্ষা পরিবারের মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিকে যে ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর সবগুলোর যাতে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা না থাকে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করব শুধুমাত্র দাপ্তরিক কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখলেই হবে না। দাপ্তরিক কাজ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমাদের যেটা অভিজ্ঞতা, আমরা দেখছি, আমরা (প্রকৌশলীরা) দাপ্তরিক কাজে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার হোন অথবা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হোন তাকে অবশ্যই মাঠে যেতে হবে। মাথায় হেলমেট পরে, চোখে সান গ্লাস লাগিয়ে হাতা গুটিয়ে মাঠে নামতে হবে। আপনি মাঠে না নামলে আমার সন্তানও আপনাকে দেখে মাঠে নামবে না। আপনার সন্তান যদি দেখে আপনি মাঠে নামছেন না তাহলে তাদের মধ্যে ধারণা হবে প্রকৌশলীর কাজ তো ফ্যানের নিচে বসে থাকা, ফাইল সই করা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।
মো. সোলেমান খান বলেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী টিচিং ও লার্নিং পদ্ধতি ভিন্ন। সে অনুযায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন ও আসবার পত্র সরবরাহ করতে হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২৩ থেকে ২৪ অর্থবছরের প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি হার ৮৩ শতাংশ (এপ্রিল ২৪ পর্যন্ত), যা জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪১টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রায় ২২ হাজার ভবন নির্মাণ করেছে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৩০ জন সহকারী প্রকৌশলী, ৪০ জন উপসহকারী প্রকৌশলীর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ নানা পর্যায়ের ২০২৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
৬ মাস আগে
দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
দিন দিন তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলেছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ২৫ বছরের ইতিহাসে খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৮ ডিগ্রির রেকর্ড, সতর্কতা জারি
এদিকে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীরা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।
জেলাটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র দাবদাহ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা ১৯ দিন (৬ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠা নামা করছিল।
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা উঠেছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতা মো. আক্তার হোসেন জানান, কয়েকদিন বৃষ্টির পর আবার তাপমাত্রা বাড়ছে। আজ ভ্যাপসা গরমে ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গায় শহীদ চত্বর মোড় ঘুরে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মানুষের মুখে ক্লান্তির ছাপ। অনেকেই ক্লান্তি দূর করতে ভিড় জমাচ্ছে শরবতের দোকানে। এক গ্লাস শরবতে মিলছে ক্ষণিকের প্রশান্তি।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গত ৬ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ৩৪ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস মধ্যে উঠানামা করছিল।
সবশেষ শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পর পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার শুক্রবারের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
৪৩ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গেল পাবনার তাপমাত্রা!
৬ মাস আগে