এসময় দেশব্যাপী নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
সকালে শতাধিক মানুষ পোস্টার নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন। পরে বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে তারা রাস্তা অবরোধ করেন।
উল্লেখ্য, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার আবদুর রহিম (২২) নামে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে সন্দেহভাজন আরও দু'জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন- কুখ্যাত ‘দেলোয়ার বাহিনীর’ প্রধান দেলোয়ার এবং বেলাল।
র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুর আলম জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল বেলালকে এবং অপর একটি দল নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দেলোয়ারকে আটক করেছে।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ২০/২৫ দিন আগে এ ঘটনা ঘটলেও, গত রবিবার গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভিডিও চিত্রে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে তার মুখমণ্ডলে উপুর্যপুরি লাথি ও বেধড়ক মারধর করতে দেখা যায়। এসময় ওই গৃহবধূ বহুবার পায়ে ধরে এবং বাবা-বাবা বলে ডাকলেও নির্যাতন চালিয়ে যায় বখাটেরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে আসলে তিনি এ বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ প্রদান করেন।
সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণসহ বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরেরদিন ভোরে ছয়জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের স্বামী।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।
এছাড়া ঘটনার পর অভিযানে চালিয়ে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাইফুর রহমানকে আসামি করে আলাদা আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আট আসামির প্রত্যেকে একে একে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেছে।