রবিবার নগর ভবনে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতাদের সাথে এক বৈঠকের পর মেয়র এই কথা বলেন।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘তারের যে জঞ্জালে ঢাকা শহর সয়লাব, সেই জঞ্জাল থেকে আমরা ঢাকা শহরকে মুক্ত করতে চাই। সেজন্যই আমাদের আজকের এই আলোচনা। আমরা সকলেই একমত হয়েছি, আমাদের এই প্রাণের এই ঢাকাকে সুন্দর ঢাকা হিসেবে পরিণত করতে চাই। আমরা যৌথভাবে কাজ করলে সেটা সম্ভব, সে ঐকমত্যে আমরা উপনীত হয়েছি।’
সোমবার থেকে আইএসপিএবি ও কোয়াব তাদের নিজ উদ্যোগে এসব ঝুলন্ত তার ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থাপনায় নিয়ে যেতে কাজ শুরু করবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ধানমন্ডি এলাকা হতে এই কার্যক্রম শুরু হবে এবং পুরো দক্ষিণ সিটিতে নভেম্বরের মধ্যে তারা এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। তাদেরকে এই কাজে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
‘এ কাজে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, বিনা খরচে তাদের রাস্তা প্রয়োজন হলে রাস্তা, ফুটপাত প্রয়োজন হলে ফুটপাত, নর্দমা প্রয়োজন হলে নর্দমা অর্থাৎ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব অবকাঠামো ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেসব অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হবে,’ বলেন মেয়র।
পুরো দক্ষিণ সিটিকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল হতে মুক্তি দেয়ার আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তারা নিজ খরচে, নিজ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির নিচ দিয়ে তারের সংযোগ নেবেন এবং সাথে সাথে উপরে ঝুলন্ত তার কেটে দেবেন। আর এটা আগামী নভেম্বরের মধ্যেই তারা শেষ করবেন বলে আমাদের কমিটমেন্ট দিয়েছেন। সে কারণেই আমরা আজ হতে আর তার কাটব না।’
এনটিটিএন গাইডলাইন অনুযায়ী আইএসপিএবি ও কোয়াব নিজ উদ্যোগে ট্রান্সমিশন ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করতে পারে না, সেক্ষেত্রে বিটিআরসির সাথে কোনো সমন্বয় করা হবে কিনা এ বিষয়ে শেখ তাপস বলেন, যেহেতু মন্ত্রী (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন এবং গতকাল মন্ত্রীর সাথে উনাদের (আইএসপিএবি ও কোয়াব নেতাদের) কথা হয়েছে এবং আজকে মন্ত্রীর সাথে আমার দুদফা কথা হয়েছে, সেজন্য এ বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
এ সময় আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ‘আজ থেকেই আমরা ঝুলন্ত তার নামিয়ে মাটির নিচে সংযোগের কাজ শুরু করে দেব। আশা করি নভেম্বরের মধ্যেই পারব।’
বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ, আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।