শেখ ফজলে নূর তাপস
সামষ্টিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিল যে, গত বছরের তুলনায় এ বছর এডিস মশার বিস্তার আরও বাড়বে। কিন্তু সামষ্টিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে আমলে নিয়ে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে চিহ্নিত অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে যে সকল জায়গা আমরা লার্ভার অভয়ারণ্য হিসেবে পেয়ে থাকি, সেসব জায়গা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য চিহ্নিত করে তাদের ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যাপক মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।’
‘আমরা ইতোমধ্যে সকল হাসপাতাল, থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি এবং এ পর্যন্ত ৪৮৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। গত বছরের জুলাই মাসে ১ হাজার ৩৩৭ জন রোগী চিহ্নিত হলেও এ বছর আজ পর্যন্ত ১২০ জন রোগী পেয়েছি। ফলে, সামষ্টিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
কোথাও এডিস মশার প্রজননস্থল সৃষ্টির আশঙ্কা থাকলে দক্ষিণ সিটির কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন করার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা নিজ উদ্যোগে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিন। কোথাও পানি জমতে দেবেন না। তার সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের কোনো স্থাপনা, জায়গায় যদি পানি জমে এডিস মশার প্রজননস্থল সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৪৪৪ ও ০২২৩৩ ৮৬০১৪ নম্বরে সরাসরি যোগাযোগ করে তথ্য দিন। আমাদের মশক কর্মীরা ১৫ মিনিটের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাহলে আরও কার্যকরভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৩ মাস কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করা হবে এবং এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সরাসরি তদারকিতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল: ডিএসসিসি মেয়র
জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার নজির স্থাপন করেছি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা সুশাসন নিশ্চিত ও (প্রশাসনিক) সংস্কার করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অন্তর্ভুক্ত নতুন পাঁচটি অঞ্চলের জন্য পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা তার একটি নজির স্থাপন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধলপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৪ ও ৫ তলা দুটি ভবনে দক্ষিণ সিটিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন পাঁচটি অঞ্চলের জন্য পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এ স্থাপনাগুলো ২০০৮ সাল থেকে র্যাবের দখলে ছিল। আমরা এটাকে প্রথমে দখলমুক্ত করি। তারপর সংস্কার করে আজ এটাকে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারলাম। ফলে দীর্ঘ ছয় বছরের অধিক সময়ে জনগণ, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, তার নিরসন হবে। তারপরও আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো চালু হওয়ায় জনগণের আর ভোগান্তি থাকবে না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমাদের ১১টি স্থাপনা পুলিশ-র্যাবের দখলে ছিল। আমরা এ যাবৎ চারটি স্থাপনা দখলমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের একটা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র দখল অবস্থায় ছিল। তারা সেটা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। লালবাগে আমাদের আরেকটি স্থাপনা র্যাব ছেড়ে দিয়েছে। সেটাতেও আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। বাকি স্থাপনাগুলোও দখলমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা প্রতিনিয়তই তাদের সঙ্গে দেন-দরবার ও আলোচনা করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। এগুলো জনগণের স্থাপনা। জনকল্যাণেই এসব স্থাপনা ব্যবহার করা হবে। আমরা আশা করছি, অচিরেই বাকি স্থাপনাগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, আমাদের নতুন পাঁচটি অঞ্চল ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সংলগ্ন এলাকাগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনেছিলেন। এর দীর্ঘ ছয় বছর পরে সেসব অঞ্চলের জন্য আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করছি। পরে ধাপে ধাপে পাঁচটি অঞ্চলের জন্য অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ যে, ধলপুরে অবস্থিত করপোরেশনের মালিকানাধীন ৩, ৪ ও ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনগুলো র্যাব-১০ ব্যবহার করে আসছিল। এ বছরের ৪ জুন র্যাব-১০ ভবনগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর সেসব ভবন সংস্কার করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য আজ পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হলো।
আরও উল্লেখ যে, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ১৮টি নতুন ওয়ার্ডকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভাজন করে নতুন পাঁচটি অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়। ফলে পুরোনো ৫টিসহ দক্ষিণ সিটিতে মোট অঞ্চলের সংখ্যা বেড়ে ১০টি অঞ্চলে উন্নীত হয়। নতুন অঞ্চলগুলোর সেবা এতদিন ধরে পুরোনো পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে দেওয়া হতো।
পরে মেয়র দক্ষিণগাঁও এলাকায় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের পিএ-৬ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে
মুষলধারে বৃষ্টির পরেও জাতীয় ঈদগাহে নির্বিঘ্নে জামাত আদায় হয়েছে: মেয়র তাপস
সুষ্ঠুভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে বলেই ভোর হতে মুষলধারে বৃষ্টির পরেও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ সময় প্রথম দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও ডিএসসিসি মেয়র জানান।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘এই জাতীয় ঈদগাহ সুষ্ঠুভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেজন্য ভোর থেকে তুমুল বৃষ্টি, মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরেও (ঈদের জামাত আদায়ে) কোনোরকম কোনো অসুবিধা হয়নি। সকল মুসল্লি অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরেছে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি এবং আল্লাহর রহমতে আজকে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে।’
ভবিষ্যতেও প্রতিকূল আবহাওয়া কথা মাথায় রেখে ঈদের জামাতের প্রস্তুতি রাখা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় আমরা সুষ্ঠু পরিবেশ স্বার্থে সক্ষম হয়েছি। বৃষ্টির কারণে অনেকে সমবেত হতে পারেননি। তারপরও যারা এসেছেন তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। ভবিষ্যতেও আমরা এভাবেই প্রস্তুতি রাখব, যাতে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও এই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে ইনশাল্লাহ কোনো অসুবিধা না হয়।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত, বৃষ্টি হলেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে: মেয়র তাপস
গতবারের চাইতে এবার বর্জ্য অপসারণে আরও বেশি সুফল দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, ‘কোরবানির ঈদ তথা ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে কোবরানির পশুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে আমাদের দুই সিটির ব্যাপক কর্মযজ্ঞ থাকে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের প্রায় সাড়ে তিনশর ওপর যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত আছে। বিভিন্ন বহির্বিভাগ থেকেও গাড়ি এবং যান-যন্ত্রপাতি এনেছি। প্রায় ১০ হাজার জনবল নিয়োজিত থাকবে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে। আমরা আশাবাদী গতবারের ন্যায় এবারও ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। গতবারও যেভাবে সফল হয়েছি ইনশাআল্লাহ এবারও নির্ধারিত সমেয়ের মধ্যেই এই বর্জ্য অপসারণ করতে পারব, ঢাকাবাসীকে আরও বেশি সুফল দিতে পারব।’
শেখ তাপস এ সময় দুই দিনের মধ্যেই যেন পশু জবাইয়ের কাজ শেষ করা হয় এবং কোনোভাবেই যেন তৃতীয় দিন পর্যন্ত এটা না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সবার কাছে অনুরোধ করেন।
এ সময় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যেও আসতে পেরেছি। আগে যেমন বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আটকে যেতাম। (কিন্তু আজকে) উত্তরা থেকে আসার সময় দেখেছি, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে রাস্তায় সে পরিমাণ জলজট হলেও পানি নেমে গেছে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করতে মেয়র তাপসের আহ্বান
যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘তাড়াতাড়ি বর্জ্য অপসারণ করতে এলাকাবাসীর সাহায্য দরকার। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যত্রতত্র যেন ময়লা না ফেলেন। আমরা প্রত্যেককে পলি দিয়েছি। বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেবেন। আমাদের প্রায় ১১ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। শ্রমিকদের সাহায্য করার অনুরোধ করছি।’
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘কোরবানি দিয়ে অনেকেই বাড়ি চলে যাবেন। বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, যেসব পাত্রে পানি জমে তা উল্টে রেখে বাড়িতে যাবেন। এটা সবার জন্য সহায়ক হবে। অবশ্যই ছাদে যে পাত্র আছে -- যাতে বৃষ্টির পানি জমতে পারে- তা উল্টে যাবেন। আমাদের সব কর্মকর্তা মাঠে থাকবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। আপনারা সহযোগীতা চাইলে আমরা দ্রুত বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নিবো।’
প্রধান ঈদ জামাতে প্রধান বিচারপতি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ডিএসসিসি মেয়রের দুই সন্তান শেখ ফজলে নাওয়াল ও শেখ ফজলে নাশওয়ান অংশ নেন।
প্রধান ঈদ জামাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতিসহ উপস্থিত সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
ডেইলি স্টারকে মেয়র তাপসের ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নোটিশ
মানহানির অভিযোগে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মেজবাহুর রহমান জানান, গত ৫ জুন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও লেখক নাজিবা বাশারকে পাঠানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে থাকা সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অপসারণ এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ডেইলি স্টার পত্রিকা এবং অনলাইন ভার্সনে রিপোর্ট বা কলাম প্রকাশ করা হয়। বাংলায় অনুবাদ করলে কলামের লেখাটা ছিল এই রকম ‘বাতাস প্রবাহের জন্য গাছ কর্তন’, আরেকটি টাইটেল ছিল যেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামকে বিকৃতি করে লিখেছেন, ‘ধোকা সাউথ টাউন করপোরেশন পরিবেশবাদীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে।’ শুধু তাই নয় মেয়র ফজলে নূর তাপসের নামকেও বিকৃতি করে লেখা হয়েছে।
এই ধরনের বক্তব্যগুলো আমাদের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মানহানির পর্যায়ে পড়ে। এই রিপোর্ট দেখে মেয়র মহোদয় আমাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তার আলোকে আমরা নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশে আমরা দুটি জিনিস চেয়েছি- একটি হলো অনলাইনে ভার্সনে থাকা লেখা অপসারণ এবং একটা বিবৃতি দিতে। পাশাপাশি ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা কোনো পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী কী সিদ্ধান্ত, সেটা মেয়র তাপসের নির্দেশে নেওয়া হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সম্মিলিত-দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনের বহরে ১০০টি নতুন ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন, যদিও ছোটখাটো কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তারপরও ঢাকা নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে এসব ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করছি এবং সেগুলো সংশোধন করছি।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনে বিআরটিসি'র মাধ্যমে আমরা ১০০টি ইলেকট্রিক বাস সংযুক্ত করব। এর মাধ্যমে আমরা ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
বায়ু দূষণের যে তকমা আমরা শুনি, সেখান থেকেও আমরা বেড়িয়ে যেতে পারব, বায়ু দূষণ থেকে মুক্ত হতে পারব।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা ২১ নম্বর যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২১ নাম্বার যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং, এই পুরো যাত্রাপথটি এখন বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।
বিআরটিসি সেটা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য ট্রান্স সিলভার সকল অনুমতি আমরা বাতিল করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা নগর পরিবহনে তাদের যে সকল বাস ছিল, যেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সেগুলো আমরা জব্দ করব।
সুতরাং ২১ নম্বর যাত্রাপথ এবং ২৬ নম্বর যাত্রাপথ বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরবান ক্লাস্টারের ছয়টি এবং সাব আরবানের তিনটি মিলে ৯টি ক্লাসটার করা হবে।
প্রথমে গ্রীন ক্লাস্টার নিয়ে আমরা কাজ করছি।
যেখানে ২১ থেকে ২৮ নম্বর মোট আটটি রুট নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলাম। তার পরিকল্পনা হিসেবে আমরা ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং আজকে ২৭ ও ২৮ এই মোট আটটি রুট অন্তর্ভুক্ত হলো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
এছাড়া আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, ২৭ ও ২৮ নম্বর রুট চালুর লক্ষ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
আজকের সভার একটি সার্থকতা বলতে চাই-আমরা টোটাল গ্রীন ক্লাস্টার যেটা আছে, এটি একটি কোম্পানির আওতায় নিয়ে আসতে বেশ অগ্রসর হতে পারছি।
ফিটনেসবিহীন বাস বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর সিটির মেয়র আরও বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা দিন দিন কমছে। আমরা এ সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছি।
এসব বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২১, ২২ ও ২৬ নম্বর রুটে যথাক্রমে ২১ মে থেকে ১ জুন, ১১ জুন থেকে ১৫ জুন ও ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, ডিএমপি ও বিআরটিএ যৌথভাবে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করবে।
পুরাতন রুটপারমিটবিহীন, ফিটনেসবিহীন কোন বাস চলতে দেয়া হবে না। নগর পরিবহনে কোন পুরতন বাস অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। শুধুমাত্র নতুন বাস দিয়েই নগর পরিবহন পরিচালিত হবে।
২১ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর, মোহাম্মদপুর, জিগাতলা, প্রেসক্লাব, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর।
২৭ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর, শিয়া, শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী, গুলশান-১, রামপুরা ব্রিজ, বনশ্রী, স্টাফ কোয়ার্টার।
২৮ নম্বর যাত্রাপথ:
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, জিগাতলা, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, মৌচাক, খিলগাঁও তালতলা ও স্টাফ কোয়ার্টার।
আরও পড়ুন: 'স্মার্ট ঢাকা' বাস্তাবায়নে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
ডিএসসিসিতে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব
প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার বিকালে নগর ভবনের ফোয়ারা চত্বরসংলগ্ন প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়।
করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিকালে এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে তিনি স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন।
বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব আজ রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
উৎসবে মোট ১৫টি স্টলে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। করপোরেশনের সাধারণ আসনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর সাহানা আক্তার ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলরগণ এসব স্টলে নানা রকম ও বাহারি ধাঁচের পিঠা প্রদর্শন করেন।
এ সময় আগত অতিথি ও দর্শনার্থীরা- ডিম পোয়া, নারিকেল পুলি, ডিম সুন্দরী, ভেজা, পুলি, দুধ পুলি, সেমাই, ভাপা, ক্ষীরের পুলি, কেক, রিফ ঝাল, ঝাল ভাজা পুলি, কয়েন পুলি, মাংসের পাটি, চিকেন সবজি এমন সব বাহারি নামের ও ভিন্ন স্বাদের এসব পিঠার স্বাদ নেন এবং বাঙালি ঐতিহ্য সংরক্ষণে মেয়র তাপসের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পিঠা উৎসবে নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীগণ লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: এতিম শিশুদের পিঠা উৎসব
১ বছর আগে
দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি কাঁচপুরে, অন্যটি কেরানীগঞ্জের কাছাকাছি।’
বুধবার সকালে সায়েদাবাদে অবস্থিত ডিএসসিসি কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের চলমান সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র তাপস এ কথা জানান।
এবিষয়ে তিনি আরও বলেন,‘এর মধ্যে একটি জমির অধিগ্রহণ হয়েছে, আমরা হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটি জমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এগুলো নির্মাণ হতে আরও ৩-৪ বছর লেগে যাবে। এর মধ্যে বাসগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্যই আমরা বাস টার্মিনাল সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, ‘কিছু পথ টার্মিনালের কাছে এসে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই আমরা নিচের রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ হাতে নিয়েছি। টার্মিনালের ভেতর দিয়ে উড়াল সেতুতে প্রবেশের পথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো কার্যকর নয়। সেজন্য আমরা নতুন করে এটা কার্যকর করতে পরিকল্পনা করেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকার দুই মেয়রকে দেয়া হলো মন্ত্রীর পদমর্যাদা
২ বছর আগে
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
রবিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস এ তথ্য জানান।
এসময় তাপস বলেন, ‘ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানি দেয়া হবে। আমি সকলকে সুষ্ঠুভাবে ও পরিবেশ বজায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানি দেয়ার অনুরোধ করব। এরপর আমরা দুই মেয়র মিলে, ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য সকল বর্জ্য অপসারণে দুপুর ২টা থেকে কার্যক্রম শুরু করব।’
আরও পড়ুন: ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্নের আহ্বান তাপসের
ঈদ জামাতের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ও সন্তোষজনক পরিবেশে আমরা এই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।’
মেয়র তাপস এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসী ও ঢাকাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় বর্জ্য অপসারণে সকলের সহযোগিতা কামনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করব, ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করুন। আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্যটা রেখে দিন। আমাদের সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে, আমরা আশা করি খুব শিগগিরিই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
২ বছর আগে
সকল ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১টি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডেই ন্যূনতম একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার জনপথ মোড়ে একটি গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র এ তথ্য জানান।
এসময় মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল; বিশেষ করে যে সকল জায়গায় গণপরিসর ও মানুষের আনাগোনা বেশি সে সকল স্থানে যেন পর্যাপ্ত গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়। সেই কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। আমাদের লক্ষ্য ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ে ন্যূনতম যেন একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা যায়। পরবর্তীতে আমরা জরিপ করে আরও চাহিদা অনুযায়ী সেটাকে বৃদ্ধি করব। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি।’
অর্থ অপচয় না করেই ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছেন উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে পুরুষ ও নারী আলাদা আলাদাভাবেই গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারবে। এটি অত্যন্ত নিয়ম ও শৃঙ্খলা অনুযায়ী পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। আমাদের চলমান একটি প্রকল্প হতে অর্থ সাশ্রয় করে আমরা এই কাজটি করেছি। সুতরাং অর্থের অপচয় রোধ করেই যেন সঠিকভাবে জনগণের কল্যাণ হয়…সে দিকটা আমরা নজর দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা প্রদান নির্বিঘ্ন রাখতেও সজাগ রয়েছি।’
আরও পড়ুন: এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
নগরে ছিন্নমূল মানুষদের সুবিধা নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘ছিন্নমূল ও ভবঘুরেদের জন্য আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেটা র্যাব দখল করে আছে। আমরা অনুরোধ করেছি সেটা ছেড়ে দিতে। কিন্তু এখনও তারা দখল ছাড়েনি। এছাড়াও ভবঘুরে এবং ছিন্নমূলদের পূর্নবাসনের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’
এর আগে মেয়র রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ও পরে নগরীর ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৫ জন নারীর প্রত্যেকের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো ও অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে মো. সুলতান মিয়া, মাসুম মোল্লা, মো. খায়রুজ্জামান খাইরুল, শফিকুল আলম শামীম, মো. জিয়াউল হক এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্য মিনু রহমান, নাজমা বেগম, সেলিনা খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লালকুঠি-রূপলাল হাউজ পর্যন্ত লঞ্চ টার্মিনাল সরানোর আহ্বান তাপসের
ঢাকার নতুন তিন রুটে ২২৫টি বাস চালু করা হবে: মেয়র তাপস
২ বছর আগে
বাঙালি সংস্কৃতি ধারণ করেই আমরা এগিয়ে যাব: মেয়র তাপস
বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অবলোকন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তাপস এই মন্তব্য করেন।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘আজ আমরা রমনা বটমূলে সমবেত হয়েছি। রমনা বটমূলের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম ও অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে রমনা বটমূলের এই সাংস্কৃতিক মিশেল আমাদেরকে পরিতৃপ্ত করে, বাঙালিত্বে সামগ্রিকতা দান করে। তাই, আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হলে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
পড়ুন: পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
২ বছর আগে