এই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৬০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত শিশুর চাচা হাজী আকবর আলী বাদী হয়ে শ্রমিকদের দায়ী করে বুধবার রাতে মামলাটি করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘গত রবিবার সকালে আমার সাত দিনের নবজাতক ভাতিজিকে অসুস্থ অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত সিলেট নেয়ার জন্য বলেন। চিকৎসকের কথামতো তাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।’
‘সিলেট যাওয়ার পথে বড়লেখা উপজেলার দরগাবাজার, দাসেরবাজার ও চান্দগ্রাম বাজারে ৩টি জায়গায় আমাদের আটকে রাখে পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় সেখানে অ্যাম্বুলেন্স চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। তাদের বাধায় হাসপাতালে না নিতে পারায় পথেই শিশুটি মারা যায়। তিনটি স্পটে ১৬০ থেকে ১৭০ জন তাদের বাধা দেয়।’
মামলার বাদী আকবর আলী বলেন, ‘আমরা আশা করছি সারাদেশ যেভাবে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আমাদের পাশে আছে আমরা বিচার পাব।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে মামলাটির তদন্ত করবে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, ‘এসপি স্যার আমাকে নিহতের বাড়িতে পাঠান। স্যারের নির্দেশে আমি তাদের সাথে কথা বলি এবং শিশুটির পরিবার মামলা করলে আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেই।’