বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে বৈঠকের পর অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।
তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হলেও খুলনার পাটকলের শ্রমিকরা অনশন চালিয়ে যান রাত ১১টা পর্যন্ত। পরে ঢাকা থেকে শ্রমিক নেতারা খুলনায় ফিরে ঘোষণা দেয়ার পর তারা চলমান অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সাথে বৈঠকে মন্ত্রী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের পে-স্লিপ প্রদান করার ঘোষণা দেন। বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম সচিব কে এম আলী আজম, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা, যশোর ও রাজশাহীতে টানা পঞ্চম দিনের আমরণ অনশন আন্দোলন কর্মসূচিতে প্রায় ৫৪ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট এবং আমরণ অনশন পালন করেন রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকরা। ধর্মঘট চলাকালীন গত ১২ ডিসেম্বর প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক আবদুর সাত্তার (৫৫) অসুস্থ হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কেএমসিএইচ) মারা যান। পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেন শ্রমিকরা।
তবে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় দাবি আদায় করতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনার স্টার, প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, আলিম, ইস্টার্ন, দৌলতপুর, খালিশপুর, যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং পাটকল এবং রাজশাহীর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন।
শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া ৫ সপ্তাহের মজুরি পরিশোধ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ, মিলগুলোকে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে না দেওয়া এবং মিলের যন্ত্রপাতি সংস্কার অন্যতম।