মঙ্গলবার দুপুরে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’র সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলসমূহে বিরাজমান পরিস্থিতিতে স্থায়ী সমাধান এবং পাটখাতকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম।
এসময় বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) সচিব এ এফ এম এহতেশামূল হক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, বহুমুখী পাটপণ্যের বর্তমান বাজার ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে পাটপণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পুনঃবিন্যাস করে বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত মিলসমূহ জরুরি ভিত্তিতে পুনঃচালু করতে কাজ করছে সরকার।
অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলো তথা মিলগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে।
সভায় আরও বলা হয়, ‘সরকারের সিদ্ধান্তকে শ্রমিকদের অধিকাংশ এবং সুধী সমাজের পক্ষ হতে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। তৎসত্ত্বেও কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অসত্য তথ্য প্রচার ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টির প্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে।’
‘শ্রমিক আন্দোলন থামানো কিংবা আন্দোলনের অংশ হিসাবে শ্রমিকদের গেট মিটিং পরিচালনা অর্থায়নের জন্য বিজেএমসি-র কোনো বরাদ্দ নেই এবং এ খাতে কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়নি। অনুরূপভাবে সিবিএ কার্যক্রম পরিচালনার জন্যও বিজেএমসি এ পর্যন্ত কোনো অর্থ ব্যয় করেনি।’
শ্রমিকদের চাকুরি অবসান এবং পাটকলসমূহ বন্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট সকল বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
নতুন মডেলে পুনঃচালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত বর্তমান শ্রমিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবে এবং এসব মিলে নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়।