সোমবার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থাসমূহের কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজিকরণের জন্য এসএমএস ভিত্তিক পাট ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাকরণ, কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রনোদনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ কাজ করছে।’

এছাড়াও সরকার দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাট শিল্পের সম্প্রসারণে সবধরনের সহায়তা করবে, বলেন মন্ত্রী।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বহুমুখী পাটপণ্যের বর্তমান বাজার ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে পাটপণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পুনবিন্যাস করে বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত মিলসমূহ জরুরি ভিত্তিতে পুনরায় চালু করতে কাজ করছে সরকার।

মন্ত্রী জানান, অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলো তথা মিলগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে।

একই সাথে মিলগুলোকে উপযুক্ত ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও পুনচালু এবং বিজেএমসি’র জনবল কাঠামো পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে যৌক্তিকীকরণের বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের দুটি কমিটি ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে, বলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের চাকুরি অবসান এবং পাটকলসমূহ বন্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট সকল বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, শ্রমিকদের চাকুরি ১ জুলাই, ২০২০ হতে অবসান করায় শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের অর্থাৎ নোটিশ মেয়াদের মজুরি ব্যতিত ওই তারিখের পর তাদের আর কোন দাবী বা পাওনা নেই। ইতোমধ্যে অর্থ বিভাগ হতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা নোটিশ মেয়াদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩০ দিনের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে।

গত ২৮ জুন বিজেএমসির আওতা থাকা ২৫টি মিল বন্ধ করার ঘোষণা করে সব শ্রমিককে ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ এর মাধ্যমে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।

সভায় বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।