পণ্য রপ্তানি
বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানিতে প্লাস্টিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনাকে বৈচিত্র্যময় করার যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, প্লাস্টিক পণ্য সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতার নিরীখে আমাদের নীতি নির্ধারণ করা দরকার, যার বিনিময়ে আমরা খারাপ প্লাস্টিককে রোহিত করব ও ভালো প্লাস্টিকের সঙ্গে বাস করব। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের ভালো প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ৪ দিনব্যাপী ১৭তম ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার অনুষ্ঠানে এ তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘২০২৬ সালের নভেম্বরে আমাদের দেশ এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট হতে যাচ্ছে। এর ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা যে প্রিফারেনশিয়াল অ্যাক্সেস (অগ্রাধিকার সুবিধা) পাই তা থাকবে না। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইনসেন্টিভও (প্রণোদনা) দিতে পারব না। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে; উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষম হতে হবে। সক্ষমতা না থাকলে দারুণভাবে বিপদে পড়ে যাব।’
আরও পড়ুন: রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহ-সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর শেখ মো. আবদুর রহমান, ইয়র্কর্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের আকাই লিন, সার্ক চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইওর্কর্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস যৌথভাবে আয়োজন করছে এ মেলাটি। ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ারে ৮০০টিরও বেশি স্টল থাকছে, যেখানে ১৮টি দেশ থেকে ৩৯০টিরও বেশি ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করছে। চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে এই মেলায়।
৪৩ দিন আগে
বেনাপোল দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে ১১ শর্ত
বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে ১১টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এসব শর্ত পূরণ করেই এই বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই আদেশে রপ্তানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে।
নতুন শর্ত অনুযায়ী, ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের পণ্যের চালান অথবা ২০ হাজার পিসের বেশি তৈরি পোশাকের (যেমন শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, আন্ডারগার্মেন্টস) চালান কায়িক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
কায়িক পরীক্ষা বলতে বোঝায়, পণ্যের চালান খুলে দেখে নিশ্চিত করা, ঘোষণাকৃত পণ্যের সঙ্গে চালানে থাকা পণ্যের মিল আছে কিনা তা দেখা।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকি বন্ধে বেনাপোল কাস্টমসের নতুন উদ্যোগ
এতে আরও বলা হয়েছে, ১২ ধরনের আমদানির পণ্যকে সংবেদনশীল ও শুল্ক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রসাধনসামগ্রী, সব ধরনের কাপড়, ইমিটেশন জুয়েলারি, ব্যাটারি, মোটর পার্টস, টায়ার ও টিউব, বাইসাইকেল যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিকস ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। এসব পণ্যের চালানও কায়িক পরীক্ষা করা হবে।
এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পর্যালোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের চালানের কায়িক যাচাই-বাছাই করার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
৭৮ দিন আগে
বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের জিরোপয়েন্ট থেকে পানামা ওয়্যারহাউজ পর্যন্ত সড়কটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে তারা আরও জানিয়েছেন, বেহাল ও অনুপযোগী সড়কটি অতিদ্রুত চলাচল উপযোগী করতে হবে। না হলে যেকোন সময়ে বাংলাদেশে সকল ধরণের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে সরকার হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক হিলি চেকপোস্টের জিরো পয়েন্ট থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সোয়া ২ কিলোমিটার সড়কটি চারলেন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেট পাস জটিলতা: দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
এর ফলে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সিসিঢালাইযুক্ত কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই সংশ্লিষ্ট ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠিান নির্মাণ কাজ করা নিয়ে গড়িমসি করে আসছে।
একমাস কাজ করলে আবার ৩ মাস না করেই ফেলে রাখে। ফলে বন্দরের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন এবং পথচারী ও বিভিন্ন যান চলাচল চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে আসছে। চলতি বর্ষায় এই ভোগান্তি আরও চরম আকার ধারণ করেছে।
মাঝে-মধ্যেই ভারতীয় ও বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে করে বন্দরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আহত হচ্ছে ট্রাক চালক ও পথচারীরা।
এই অবস্থায় ভারতের ব্যবসায়ীরা সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে ভারতের হিলি হিলি এক্সপোটার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজেশ আগরওয়ালা জানান, আমরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে বলেছি, হিলি স্থলবন্দরের চেকপোস্ট গেট থেকে পানামা হিলি পোর্ট লিংক লি. এর গেট (পানামা ওয়্যাহাউজ) পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে।
সড়কটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে আমাদের চালক ও সহকারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক (লড়ি) চালাচ্ছেন। প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে গিয়ে উল্টে পড়ছে।
আবার মাঝে-মধ্যে বিকল হয়ে যাচ্ছে। ফলে ট্রাকের যেমন বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি চালক ও সহকারীরা আহত হচ্ছেন।
এতে করে দুই দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় ট্রাক চালক ও সহকারীরা রপ্তানি পণ্য নিয়ে হিলি দিয়ে বাংলাদেশে যেতে চাইছেন না।
আমরা ব্যবসায়ী, ট্রাক মালিক ও চালকদের পক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছে দাবী জানাচ্ছি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি পুনর্র্নিমাণ কাজ শেষ করে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে উপযোগী করতে হবে। না হলে যেকোন সময়ে বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
হিলি-হাকিমপুর নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চারলেনে উন্নীত করার জন্য আমরা হিলিবাসী দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে আসছি।
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এরই প্রেক্ষিতে সরকার হিলি চেকপোস্টের জিরোপয়েন্ট থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সোয়া ২ কিলোমিটার সড়কটি চারলেন করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ডিসেম্বরে কাজ শুরুর পর থেকে ঠিকাদার বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে।
একটু কাজ করলে আবার ৩/৪ মাস উধাও। ফলে আমাদের চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা চাই সরকারের এই উন্নয়ণমুলক সড়কের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা হোক।
হিলি স্থলবন্দর ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখেছে। কাজ তারা নিয়ে চরম গাফিলতি করছে। এখন বর্ষাকাল সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা না হলে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যে চরম বিপর্যয় দেখা দিবে।
তাই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি।
বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি।
চিঠিতে তারা উল্লেখ করে বলেছেন, হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এ কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সড়কটি সংস্কার করা জরুরি।
যদি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া না হয় তাহলে তারা বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সড়কটি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
হিলি-হাকিমপুর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী জানান, হিলি স্থলবন্দরের সড়কটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সোমবার আমরা হিলিবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বন্দরের চারমাথায় মানবন্ধনসহ সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলাকার স্বার্থে সকলকে এই কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনফ সরকার জানান, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে শেষ হওয়া সড়কের চারলেনের মধ্যে দুই লেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এতে সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। ঈদের ছুটির জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে। আজ-কালের মধ্যে কাজ শুরু হবে। তবে ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কোনো লোকজনকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঈদে ৬ দিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
৬২৯ দিন আগে
জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩.৯৮ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছরে ঘাটতি এবং পরিশোধের ভারসাম্যের ব্যবধান বাড়ার মধ্যে মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জুলাইয়ে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই মাসে ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ছিল। এতে দেখা যায় রপ্তানি আয় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
সরকার জুলাইয়ের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন। মাস শেষে রপ্তানি ৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে, জুনের তুলনায় জুলাই মাসে রপ্তানি প্রায় এক দশমিক শুন্য বিলিয়ন কমেছে। গত জুনে বাংলাদেশ ৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য অনুসারে, নিট এবং বোনা পোশাক রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
গত বছরের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তবে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সেবা খাত থেকে বাংলাদেশ অর্থবছরে ৭ দশমকি ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যের বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমকি ৬৭ শতাংশ বেশি।
সরকার চলতি অর্থবছরে ১৫ শতাংশ ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং ৬৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
৯৬৮ দিন আগে
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার
চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে ৬৭ বিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২০ জুলাই) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও এটি আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছর ৫১ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬০ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছিল, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
এদিকে বছর শেষে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি।
৯৮১ দিন আগে
পণ্য রপ্তানির আড়ালে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা
বিদেশে পোষাক পণ্য রপ্তানির নামে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ‘আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ’ নামে এক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্র পথে পণ্যগুলো ফিলিপাইন রপ্তানির চেষ্টা করছিল।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) চালানটি আটক করে কাস্টমসেরঅডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে কায়িক পরীক্ষা শেষে রাতে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড নামে বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে পণ্য লোড করা হয় পাচারের উদ্দেশ্যে। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ।
গত তিন মাসের ব্যবধানে ঢাকার এই প্রতিষ্ঠানটি ১১৩টি পণ্য চালান রপ্তানির বিপরীতে কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
কায়িক পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে, চারটি পণ্য চালানের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেন। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের বিপরীতে ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা প্রাপ্তি হতো। তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি চার ধরনের পণ্য রপ্তানির আড়ালে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার উত্তরা এলাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটির পণ্য ফিলিপাইনে রপ্তানির উদ্দেশ্যে কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেডের ডিপোতে কনটেইনারে লোড করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে গত ১১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চার ধরনের পণ্য চালান আটক করে শতভাগ কায়িক পরিশ্রম করা হয়।
কাস্টমস এর এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, রপ্তানি ঘোষণা অনুযায়ী ওই চারটি চালানে ২৪ হাজার ৩৪৪ পিস পোশাক থাকার কথা। কিন্তু শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে সেখানে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ পিস পোশাক পাওয়া যায়। এর মধ্য দিয়ে কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরূদ্ধে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ কর্মকর্তার মতে, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যচালান রপ্তানি করে। এসব চালানে ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে চায় এক্সপো ফোম
রপ্তানি আয় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
১১৬২ দিন আগে
২০৩০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের জিএসপি সুবিধা চায় বাংলাদেশ
কোভিড-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে আগামী ২০৩০ সাল পযন্ত জিএসপি সুবিধা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
১৬৭১ দিন আগে
পোল্যান্ডে ওয়ালটনের টেলিভিশন রপ্তানি শুরু
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির ধারাবাহিকতায় এবার ইউরোপের পঞ্চম জনবহুল দেশ পোল্যান্ডে টেলিভিশন রপ্তানি শুরু করল ওয়ালটন।
১৬৭৪ দিন আগে
পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকার সচেষ্ট: পাট মন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সোমবার বলেছেন, ‘কৃষকের উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।’
১৬৯৭ দিন আগে